নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওড়িশাঃ ওড়িশার কার্লাপাত বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে মোট ৫টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। অভয়ারণ্যের অধিকারিকরা জানান, ওই হাতিগুলির মৃতদেহগুলি জলাশয়ের পাশ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণেই হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অভয়ারণ্যের কর্তৃপক্ষ মনে করেছেন যে, হাতিগুলি যে জলাশয়টি থেকে জল পান করতো সেই জলাশয়টি কোনো কারণে দূষিত ও সংক্রমিত হয়ে গিয়েছিল।
কালাহান্ডির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেছেন যে, “সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে জলাশয়ে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জলাশয়ের বিভিন্ন দিক থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পশু চিকিত্সা বিজ্ঞান, পশুপালন কলেজ সহ ওড়িশার কৃষিকাজ এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা ক্ষেত্র বিশ্লেষণের জন্যে ওই সংরক্ষিত এলাকায় এসেছেন”।
এমনকি তিনি আরো জানিয়েছেন যে, “জলাশয় সংক্রমিত হয়ে থাকার ভয়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের গবাদি পশুগুলিকে জঙ্গলে ঢুকতে না দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি বনকর্মীদের হাতির পালের উপর নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে”।
প্রথম হাতিটির মৃতদেহ ১ লা ফেব্রুয়ারী অভয়ারণ্যের ভেতরে অবস্থিত তেঁতুলিপাড়া গ্রামে পাওয়া গেছিল। হাতিটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় যে মৃত হাতিটি গর্ভবতী ছিলো। এর পরের তিনটি হাতির মৃতদেহ ঘুষুড়িগুড়ি নুল্লাহ এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
পশু বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমিত জল বা মাটির সংস্পর্শে এলে হাতিগুলির শ্বাস নালী ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার থেকে পরবর্তীতে নিউমোনিয়া দেখা দেয়। অভয়ারণ্যের অন্যান্য পশুগুলি সংক্রমিত হয়েছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন অভয়ারণ্যের আধিকারিকরা।