মিনাক্ষী দাসঃ বর্তমান যুগে মানুষ খুব মোবাইলমুখী হয়ে পড়েছে। তাই মানুষ সময় পেলেই মোবাইলে গেম থেকে শুরু করে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ সহ বিভিন্ন কিছু দেখে। আর এতে চোখের উপর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি যারা অফিসে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করে তাদেরও চোখের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
সাময়িক কোনো অসুবিধা না হলেও দীর্ঘমেয়াদে নানা সমস্যা শুরু হতে পারে। তাই চোখের যত্ন নেওয়াও অত্যন্ত জরুরী। আর চোখের যত্ন নিতে চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া, খানিকক্ষণ চোখ বুজে থাকার পাশাপাশি কিছু ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া উচিত। যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি চোখের যত্ন রাখতেও সমান পারদর্শী।
পেস্তাঃ পেস্তায় থাকা জেক্সানাথিন বয়সজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে দৃষ্টি উন্নত করে।
খেজুরঃ ভিটামিন এ-র অভাবে চোখের নানা সমস্যা দেখা দেয়। আর খেজুরে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
আখরোটঃ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর আখরোট চোখের যত্ন নেয়। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ড্রাই আইজের সমস্যাও অনেকটা কমিয়ে দেয়।
কিশমিশঃ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পলিফেনলিক উপাদান সমৃদ্ধ কিশমিশ চোখের যত্ন নেয়। কিশমিশ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, চোখের নানা সংক্রমণ দূর করতে এবং প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান ঘটাতে ওষুধের মতো কাজ করে।
কাঠবাদামঃ ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কাঠবাদামের বহুমুখী উপকারীতা রয়েছে। কাঠবাদাম বিশেষ করে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সত্যিই কার্যকর। এছাড়া এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সাথে লড়াই করে চোখ ভালো রাখে। আর সার্বিক সুস্থতার জন্যও কাঠবাদাম খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।