নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে ৪ ঠা মার্চ অবধি অর্থাৎ পাঁচ দিনের সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল ৮ ঘণ্টা জেরার পর মণীশ সিসৌদিয়াকে আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিন দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে হাজির করানো হলে সিবিআই দাবী করেছে, “তিনি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। আবগারি নীতির প্রথম খসড়ার অন্তত ছয়টি বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। পানীয় বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির স্বার্থেই আবগারি নীতির খসড়ায় বদল আনা হয়েছিল।
এর বিনিময়ে ১০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া মণীশ সিসৌদিয়ার কম্পিউটার থেকে আবগারি নীতির খসড়ার একটি নোট পাওয়া গেছে। আবগারি কমিশনারকে ওই নোট দিয়েছিলেন। যদিও তার সাথে আইনী উপদেষ্টাদের যে পরামর্শ ছিল, সেই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছিল।
মণীশ সিসৌদিয়ার আইনজীবী সিবিআইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ‘‘আমার মক্কেল ওদের অভিযোগ মেনে নেননি। এটাই ওদের সমস্যা। ওরা চেয়েছিল, ওরা যা চাইবে, আমি তাই বলব। কেউ অপরাধ মানেননি বলে হেফাজত পাঠানো যায় না।’’
মণীশ সিসৌদিয়ার গ্রেফতারীর প্রতিবাদে আম আদমি পার্টি দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ডিডিইউ মার্গে বিজেপির সদর দপ্তরে মিছিল করে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিয়ে ব্যারিকেড দেয়। কিন্তু আম আদমি পার্টির কর্মীরা ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের সাথে সংঘর্ষও হয়। ফলে রাজধানী, ভোপাল, চণ্ডীগড়, বেঙ্গালুরু সহ বিভিন্ন বড়ো শহরে কড়া নিরাপত্তা জারি রয়েছে।
এমনকি কলকাতা বিজেপির সদর দপ্তরের সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। মণীশ সিসৌদিয়ার আগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর গতকাল থেকে ৮০ শতাংশ আম আদমি পার্টির নেতা দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। আর যেখানে কাউকে আটক করে ২৪ ঘণ্টার বেশী রাখা যায় না। সেখানে ওই নেতাদের না ছাড়ার কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল অভিযোগ করেন, ‘‘অনেক সিবিআই কর্মী মণীশ সিসৌদিয়াকে গ্রেফতারীর বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু সিবিআই রাজনৈতিক চাপের কারণে প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও মণীশ সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।