চয়ন রায়ঃ অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০০৬ সালে কাঁথি বিধানসভা থেকে জয়লাভের পরই তাঁর তৃণমূলে যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যুক্ত হন এবং ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম জয়ের পর পরিবহন মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, শুভেন্দু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে আগামী ১৯ শে ডিসেম্বর শনিবার তিনি বিজেপিতে যোগদান করবেন। এমনকি তিনি যোগদানের দিন দিল্লিও যেতে পারেন।
তিনি প্রথমে গত ২৫ শে নভেম্বর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর একে একে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএর পাশাপাশি তিনি অরাজনৈতিক সভা থেকে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনো ব্যক্তির নয়, এই আন্দোলন জনতার ছিল। তিনি এও জানান তাঁর কোনো পদের লোভ নেই। যাঁরা তাঁকে আক্রমণ করছে তাঁদের পরিণতিও ঠিক অনিল বসুদের মতোই হবে। এই বলেই তিনি শুধু থেমে থাকেননি তিনি বলেছেন মুড়ি ও পান্তাভাত খাওয়া ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে তবে এতে ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকা লোকজনদের খুব অসুবিধা হচ্ছে।
১ লা ডিসেম্বর শুভেন্দুর সাথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় সহ তৃণমূলের বেশ কিছু নেতার বৈঠক হয় আর সেখানে সৌগত রায় জানান তাদের বৈঠকে ইতিবাচক দিকই আছে আর দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু তারপর দিনই শুভেন্দু নিজেই জনসমক্ষে জানান দল তাঁর বৈঠকের কোনো শর্ত মানেননি তাই তাঁর পক্ষে আর দলে থেকে একসাথে কাজ করা সম্ভব হবে না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএই ঘটনায় বিজেপিও অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পর কতোটা ক্ষমতা অধিকারী হতে পারে।