অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গার্ডেনরিচে বিপর্যয়ের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ প্রোমোটার ও অন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে (সুয়ো মোটো) মামলা দায়ের করে খুন এবং খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। ডিডি হোমিসাইড এই ঘটনার তদন্ত করবেন। কলকাতা পুরসভাও তিন জন ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ করেছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ওই বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে। সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। কারণ কোন ওয়ার্ডে বেআইনী বাড়ি ক’টি আছে, তা চিহ্নিত করা তাদের দায়িত্ব ছিল। তারা ওই কাজে ব্যর্থ হয়েছেন। দায়িত্ব পালন করেননি।
প্রসঙ্গত, গতকাল মধ্য রাতে পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর ব্যানার্জি পাড়া লেনে একটি নির্মীয়মান বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে ইতিমধ্যে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকাটি ১৫ নম্বর বরো এলাকার অন্তর্গত। মেয়র তথা পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাড়িটা উঠল কী করে? আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি। টক টু মেয়রেও বলেছি। বেআইনী নির্মাণের শুরুতেই ধরব। বাড়ি তৈরী হয়ে গেলে, মানুষ সেখানে থাকতে শুরু করলে মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এসব হবে কেন? শুরুতেই আটকে দিলে তো এসব ঘটে না।’’ কিন্তু তিন জন আধিকারিক ঘনিষ্ঠ মহলে দাবী করেছেন যে, ‘‘বাড়িটা অনেক ভিতরে থাকার কারণে তাদের নজর এড়িয়ে গিয়েছে।’’