চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে আনলো বড়োসড়ো পরিবর্তন। এবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পদে ইস্তফা দিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই পদত্যাগপত্র জমা করলেন। আর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পদে অভিনেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়া সায়নী ঘোষকে আনা হলো। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর অনুযায়ী যায়, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই অভিষেককে দলের গুরুতর পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এর পাশাপাশি আরো অনেককে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়েছে। সাংঠনিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভাপতি কাকলি ঘোষ দস্তিদার হলেন। এছাড়া রাজ্য তৃণমূলের সংস্কৃতি শাখার সভাপতি ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী হলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
খেতমজুর শাখার সভাপতি প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসু হলেন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি দোলা সেন হলেন। আর শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রাক্তন বাম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে করা হলো। এমনকি নির্বাচনে হেরেও তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হলো। মূলত ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ এই নীতির কথা মাথায় রেখেই সাংগাঠনিক স্তরে তৃণমূ্লের রদবদল করা হলো।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আজকের এই সাংঠনিক বৈঠকে এও বলা হয়েছে যে, “মন্ত্রীরা আর জেলা সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। মন্ত্রীদের গাড়িতে লালবাতি লাগানো যাবে না। ফেসবুক-সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ইচ্ছে পোস্ট করা যাবে না। এমনকি লাইভের মাধ্যমে দল সম্পর্কে ইচ্ছানুযায়ী কোনো কিছু বলা যাবে না। কোনো দুর্নীতিতে নাম জড়ানো যাবে না”। এর সাথে সাথে আগামী এক মাসের মধ্যে আটটি জেলা কমিটি বদল করা হবে।
এই সাংঠনিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ ১৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।