চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আর জি কর কাণ্ডে যখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ঠিক তখনই রাজ্য সরকার রাতেরবেলা মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এবার নাইটশিফটে কর্মরত মহিলা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় রাজ্যের পক্ষ থেকে ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে বিশেষ কর্মসূচী চালু করেছে।
আজ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘‘একাধিক দপ্তরের উদ্যোগেই ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প চলবে। মেডিকেল কলেজগুলিতে পুলিশ পেট্রলিং চলবে। হাসপাতালে ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে মহিলা বান্ধব সিকিউরিটি ফোর্স রাখা হবে। মহিলা চিকিৎসক এবং নার্সদের বারো ঘণ্টার বেশী যেন ডিউটি শিডিউল না হয় তাও দেখা হবে। এমনকি যখন রাতেরবেলা কোনো মহিলা ডিউটিতে থাকবেন, তখন একসাথে যাতে দু’জন মহিলা কাজ করেন, তাতে জোর দেওয়া হবে। আর নাইট ডিউটি যতটা কম দেওয়া যায় বা না দেওয়া হয় তাও দেখা হবে।

- Sponsored -
এছাড়া মহিলাদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। সেফ জোন তৈরী করে সিসিটিভি দিয়ে তা ঘিরে রাখা হবে। স্থানীয় থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সাথে বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপের যোগ থাকবে। সমস্ত কর্মরত মহিলার ফোনে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক করা হবে। যেকোনো এমার্জেন্সি বা প্যানিক সিচুয়েশন হলে হেল্পলাইন নম্বর ১০০ বা ১১২ ব্যবহার করা যাবে।
পাশাপাশি মেডিকেল কলেজ, জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটি চেক এবং ব্রেথালাইজার টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে। অন্যদিকে, নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও পুরুষ-নারীর সমানুপাতে নজর রাখা হবে।বিশাখা কমিটি যদি কোথাও না হয়ে থাকে তা থাকতেই হবে। সমস্ত জেলাতেও এই কর্মসূচী গৃহীত হবে।’’ রাজ্যের তরফ থেকে বেসরকারী সংগঠনগুলিকেও সরকারের এই গাইডলাইন মেনে চলার জন্য আবেদন করা হয়েছে।