নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওড়িশাঃ ওড়িশার অন্যতম উত্সব পুরীর রথযাত্রা। জগন্নাথদেবের মন্দির থেকে রথ আড়াই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে গুন্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়িতে যায়। রথের রশিতে টানতে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। রাস্তার ধারে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গত বছরের ন্যায় চলতি বছরও পুরীর রথযাত্রায় ভক্তের সমাগম নেই। শুধু সেবাইতরা রথে রশি টানবেন। আর এবার পুরীর রথযাত্রায় ৩ হাজার সেবায়েত ও ১ হাজার কর্মী অংশ নিয়েছেন। রথযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট এবং ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া রবিবার রাত ৮ টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮ টা অবধি জনপ্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরীতে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অবশ্য সমস্ত প্রথা মেনেই প্রথমে মন্দিরের মধ্যে আরতি, অবকাশ, রসা হোম, সূর্য্য ও দ্বারপালা পুজো, মঙ্গল অর্পন সহ বিভিন্ন পুজোর রীতিনীতি পালিত হচ্ছে। এরপর পুরীর মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রাকে রথে বসিয়ে বাদ্যযন্ত্র, শঙ্খধ্বনি বাজানো হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে এই তিনটি রথ তৈরী করা হয়েছে। জগন্নাথদেবের নন্দীঘোষ, বলভদ্রের তালধ্বজ ও শুভদ্রার রথ দর্পদলন। ইতিমধ্যেই জগত্গুরু পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী মহারাজ রথের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন। প্রথা মেনে পুরীর মহারাজও সোনার ঝাঁটা দিয়ে রথ যাওয়ার পথ শুদ্ধ করেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here