ছক্কা মেরে তৃণমূলকে মাঠের বাইরে পাঠাবো, হুঙ্কার রাজনাথ সিং এর
দেবব্রত মন্ডলঃ বাঁকুড়াঃ ফের কাটমানি ও তোলাবাজির ইস্যুতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী শ্যামল কুমার সরকারের সমর্থনে এক জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি তৃণমূলকে তোলা বাজি ইস্যুতে আক্রমণ করেন। বিজেপি সরকার গঠন হলে তোলা বাজি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, “আনে দিনো মে কিসি মা কে লাল কি হিম্মত নেহী হ্যায় কি কাটমানি লে অর ইহ্যা তোলাবাজি করে”। ঠিক এই ভাবেই তোলা বাজি ইস্যুতে তৃণমূলকে আবারো কাঠগোড়ায় তুললেন রাজনাথ সিং।
এদিনের জনসভায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছাড়াও বাঁকুড়ার লোকসভা সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকার, দলীয় প্রার্থী সহ জেলার বিভিন্ন বিজেপি কার্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর সাথেই এদিন এই সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে যেভাবে বিকাশ হচ্ছে পশ্চিমবাংলায় টিএমসির সরকারের আমলে বিকাশের বিষয়ে কোনো লেনাদেনা নেই যা মনে আসে তাই করে। তৃণমূল নেতাদের দ্বারা এবং মমতাদির দ্বারা সাধারণ মানুষদেরকে হুমকি দিয়ে ফাটিয়ে দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। আর উনি কাউকে দুর্যোধন কাউকে দূঃশাসন বলার পাশাপাশি আমাদেরকে বহিরাগত বলছেন”। একই সাথে তাঁর দাবী ভারত মায়ের কোনো সন্তান ‘বহিরাগত’ নয়।
এর পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেছেন, “তৃণমূল সরকার তালডাংরা বিধানসভার সিমলাপালে শিলাবতী নদীর উপর ব্রিজ তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখনো সেই ব্রীজ হয়নি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সেই ব্রিজ তৈরি করা হবে। রাজনাথ সিং দাবী তুলে জানিয়েছেন, “এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার পশ্চিমবাংলায় ক্ষমতায় এলে পাঁচমুড়ার যে টেরাকোটা শিল্প সেই শিল্প বিদেশে এক্সপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া হবে”।
অন্যদিকে এদিনের সভামঞ্চ থেকে রাজনাথ সিং ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলির নাম নিয়ে এও বলেছিলেন যে, “যখন সৌরভ গাঙ্গুলি ক্রিজে নামেন তখন সবাই ছয় ছয় হাঁক দেয়। আমরা লোকসভা ভোটে মাঠে নেমেছি। এবার ছয় মেরে তৃণমূলকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেবো”। এমনকি তৃণমূলকে ‘খেলা হবে’ প্রসঙ্গেও আক্রমণ করেন।