নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ এবার ট্রেনে খাবার কেনার সময়ে যাত্রীদের সুবিধার্থে আইআরসিটিসি কিউআর কোড আনতে চলেছে। ফলে নগদের লেনদেন কমবে ও বিক্রেতারা অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারবেন না বলেই আশা করা হচ্ছে। আপাতত নির্দিষ্ট একটি রুটে এই বন্দোবস্ত শুরু হলেও ভবিষ্যতে অন্যান্য ট্রেনেও এই সুবিধা শুরু হবে।
তেজস, দুরন্ত, শতাব্দী এবং রাজধানীর মতো বেশী অর্থমূল্যযুক্ত ট্রেনের টিকিটের ভাড়ার মধ্যে খাবারের দাম যুক্ত থাকে। কিন্তু প্যান্ট্রিকারযুক্ত অন্যান্য ট্রেনগুলিতে যাত্রীদের আলাদা করে খাবার কিনতে হয়। আর প্যান্ট্রিকার না থাকা ট্রেনগুলিতে আইআরসিটিসির নির্দিষ্টকৃত বিক্রেতারা নিজেদের বেস কিচেন থেকে খাবার সরবরাহ করেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন থেকেই বিক্রেতাদের একটি বড়ো অংশ যাত্রীদের থেকে ইচ্ছামতো দাম চাইছেন। আর কার্ড ব্যবহার করার বন্দোবস্ত থাকলেও সেই সুবিধা দেওয়া না দেওয়ায় নগদ মূল্যেই খাবার কিনতে হচ্ছে। এর জেরে বিক্রেতারাও সুযোগ পেয়ে বেশী দাম নিচ্ছেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই কিউআর কোড আনা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি আইআরসিটিসির মেনু কার্ডেই খাবারের সাথে এই কিউআর কোড দেওয়া থাকবে। বিক্রেতাদের আইডেন্টিটি কার্ডের উপরেও কিউআর কোড থাকবে। এর ফলে কোনো যাত্রী চাইলেই এই কোড স্ক্যান করে খাবারের দাম দিতে পারবেন। আপাতত ক্রান্তি এক্সপ্রেসে এই বন্দোবস্ত চালু করা হয়েছে।