নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজস্থানঃ নির্বাচনী ইস্তাহারের আগে কংগ্রেস যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিক তেমন এবার রাজস্থানের বিকানেরে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ফের সেই কথা মনে করালেন। রাহুল গান্ধী জানান, ‘‘কংগ্রেস ভোটে জয়ী হলে দেশের প্রতি গরীব পরিবারের এক জন করে মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বছরে এক লক্ষ টাকা পাঠানো হবে। আপনি যদি দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন, তাহলে প্রতি মাসে আপনার অ্যাকাউন্টে খটাখট ৮,৫০০ টাকা করে প্রবেশ করবে। এক ঝটকায় আমরা হিন্দুস্তান থেকে দারিদ্র্য মিটিয়ে দেব।’’
এরপর বিজেপিকে একের পর এক তোপ দেগে বলেন, ‘‘কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) চাইছেন। বেকার তরুণেরা চাকরী চাইছেন। মহিলারা মূল্যবৃদ্ধি থেকে নিস্তার চাইছেন। অথচ কেউ শুনছে না। এখন দেশে সব থেকে বড়ো সমস্যা মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব। কিন্তু সংবাদমাধ্যম এই বিষয়গুলিকে তুলে ধরছে না। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পনেরো থেকে কুড়ি জন শিল্পপতির ঋণ মকুব করেছেন। ওই টাকায় একশো দিনের কাজের কর্মীদের ২৪ বছর ধরে বেতন দেওয়া যেত।’’
এছাড়া আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুলে দাবী করেন, ‘‘বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে শিল্পপতিদের থেকে টাকা নিয়েছে। অথচ কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন আসলে কুড়ি থেকে পঁচিশ জন কোটিপতি এবং গরীব মানুষদের লড়াই।’’ জানুয়ারী মাসে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘‘এই যাত্রা পাঁচটি ন্যায়ের উপরে দাঁড়িয়ে। মহিলা, তরুণ, কৃষক, শ্রমিক ও ভাগীদারি বা জনসংখ্যা অনুযায়ী ক্ষমতায় অংশগ্রহণের ন্যায়ের দাবী।
সেই ন্যায়ের অঙ্গীকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরী হয়েছে। সেখানে মহিলাদের আর্থিক সহায়তা, দেশের ত্রিশ লক্ষ সরকারী শূন্যপদে চাকরী, পঁচিশ লক্ষ টাকা অবধি নগদহীন স্বাস্থ্যবিমা, কৃষকদের জন্য ফসলের ন্যূনতম সহায়কমূল্য নিশ্চিত করার আইনী অধিকার সুরক্ষিত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া জাতগণনা এবং পঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত জাতভিত্তিক সংরক্ষণ (এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য), আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।