মালদাঃ মালদার চাঁচলের কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষিকার ট্রান্সফারকে কেন্দ্র করে প্রচণ্ড উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে। স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে দু’জন শিক্ষক আছে। আর তার মধ্যে আচমকাই স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন এই দু’জনের মধ্যে একজন শিক্ষিকা সায়নী ঘোষ বদলি হয়ে গেছেন। যার জেরে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সহ তাদের সকল অভিভাবকগণ।
তাদের দাবী, দু’জন শিক্ষক দিয়ে কোনোভাবে পঠন-পাঠন চললেও একজন শিক্ষক দিয়ে তা কখনোই সম্ভব নয়। অবিলম্বে শিক্ষক বদলির এই নির্দেশ বাতিল না করা হলে এই বিক্ষোভ বড়ো আকার ধারণ করবে।

- Sponsored -
কানাইপুর জুনিয়র হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বিজয়া পারভিন জানায়, “মাত্র দু’জন শিক্ষক দিয়ে কোনোরকমে আমাদের বিদ্যালয় চলে। এর মধ্যে একজনকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর আমাদের ক্লাস কে নেবে তা আমরা জানি না।”
এক ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ বলেছেন, “এলাকার অধিকাংশ পড়ুয়াই নিম্নবিত্ত পরিবারের। এলাকায় আর কোনো বিদ্যালয় নেই। তাই এই বিদ্যালয়ই একমাত্র ভরসা। বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখতে এই শিক্ষিকার বদলি আটকাতে হবে। তাই আজ আমরা বিক্ষোভ করছি।”
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চাঁচল থানার পুলিশ। পুলিশের সামনেই বিদ্যালয়ের টিআইসি সহ অন্যান্য শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের ঘরে তালা বন্ধ করে রাখলেন গ্রামবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা। পুলিশ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও পুরো বিষয়টি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।