নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসামঃ নব্বই বছরের পুরোনো নীতিতে দাঁড়ি পড়লো। এবার আসামের বিধানসভা থেকে পুরোনো নীতি বাতিল হয়ে গেল। আর এরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিতর্কের মুখে পড়লেন। বর্তমানে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হলেন উত্তর-পূর্ব ভারতে পদ্ম শিবিরের হিন্দু-হিন্দুত্ব রাজনীতির অন্যতম মুখ।
তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই নিজের রাজ্যে নানা পরিবর্তন এনেছেন। উত্তরাখণ্ড অবৈধ দেওয়ানি বিধি লাগু হওয়ার পরেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ‘‘গোটা দেশের সাথেই আসামেও খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়ম চালু হবে।’’ কিন্তু তা চালু হওয়ার আগেই যেন নিজের বিধানসভায় ধর্মের কোপ মারলেন। চলতি বাজেট অধিবেশনেই আসাম বিধানসভা বছর পুরনো নিয়মকে বাতিল করল।

- Sponsored -
পুরোনো নিয়মে, অধিবেশন চলাকালীন নামাজ পড়ার জন্য সে রাজ্যের বিধানসভা তরফে মুসলিম বিধায়কদের দু’ঘণ্টার বিরতি দেওয়া হত। গত নয় দশক ধরেই এই নিয়ম অব্যাহত ছিল। যাতে আপাতত তালা পড়ে গেল। গত বছরের শেষ অধিবেশনেই এই বিধি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। যা হল চলতি অধিবেশনে। তাও আবার আজ নামাজ পড়ার অন্যতম দিন শুক্রবার। আর তাতেই আসামের সংখ্যা লঘু বিধায়কদের ক্ষোভ চড়েছে।
এদিকে হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও এই প্রাচীন নীতি বাতিল প্রসঙ্গে জানান, ‘‘১৯৩৭ সালে মুসলিম লিগের হাত ধরে এই বিধি চালু হয়েছিল। যা আপাতত সময়ের অপচয় রুখতেই বাতিল করা হয়েছে।’’ পাল্টা এআইইউডিএফ বিধায়ক রফিকুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, ‘‘বর্তমানে সে রাজ্যের বিধানসভায় ত্রিড জন সংখ্যালঘু বিধায়ক রয়েছেন। আমরা এই বিধি বাতিলের বিরোধীতাও করেছি। কিন্তু ওরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই আমাদের বিরোধীতায় কোনো প্রভাব পড়েনি।’’