নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ আড়াই বছর থেকে যে হাত ধরে প্রেম করে বিয়ে করেছিল পাঁচ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের পর ভালোবাসার মানুষ যে সেই হাতই কেটে নেবে তা কেতুগ্রামের রেণু খাতুন দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি। রেণু চাকরী পেয়ে ছেড়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় স্বামী মহম্মদ শেখ স্ত্রীর হাতের কব্জি কেটে নেন।
জানা গেছে, শনিবার রাতেরবেলা রেণু কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় গভীর রাতেরবেলা মহম্মদ শেখ রেণুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে একাধিক বার হাতুড়ির ঘা মেরে ডান হাত থেঁতলে দেওয়ার পর টিন কাটার বিরাট কাঁচি দিয়ে ডান হাতের কব্জি কেটে দিয়েছিলেন।
এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থাতেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুর্গাপুরের এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর রেণুর বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হলে ওই পরিবারের সদস্যরা দাবী করেন যে, ‘‘তারা হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছাতেই জামাই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।’’
পুলিশ সূত্রে খবর যে, আজ ভোরবেলা মহম্মদ শেখের মা-বাবা বাসে চেপে পালানোর ছক কষেছিলেন কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মা মেহেরনিকা বিবি ও বাবা সিরাজ শেখকে চাকটা বাস স্ট্যাণ্ড থেকে গ্রেফতার করে মহম্মদ শেখের খোঁজ পেতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন।
এই ঘটনার পর রেণু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বলেছেন, ‘‘লড়াই চালিয়ে যাব! আর যারা আমার হাত কেটে নিয়ে ভবিষ্যৎ নষ্ট করার চক্রান্তে জড়িত তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।’’