অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো ৬ জন পড়ুয়া। ধৃতরা হলো জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া। আরিফ যাদবপুরের প্রধান ছাত্রাবাসে থাকত। ও পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা আসিফ আফজল আনসারি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
এছাড়া উত্তর চব্বিশ পরগণার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের বর্তমান ছাত্র এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কুলতলির বাসিন্দা অসিত সর্দার। সংস্কৃতের প্রাক্তন ছাত্র। আর প্রাক্তন ছাত্র সপ্তক কামিল্যা ও সুমন নস্কর।
এই ঘটনার পর থেকে অসিত, সপ্তক এবং সুমন পলাতক থাকায় অসিতকে কুলতলি, সপ্তককে এগরা ও সুমনকে মন্দিরবাজার থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা রাতভর অভিযান চালিয়ে আরিফ, আফজল, অঙ্কন, অসিত, সপ্তক এবং সুমনকে গ্রেফতার করেন।

- Sponsored -
আজই ধৃতদের আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে আনার চেষ্টা করা হবে। পুলিশ জানতে পেরেছে যে, এই ঘটনায় এখনো অবধি সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখর, আরিফ, আফজল, অঙ্কন, অসিত, সপ্তক ও সুমনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
পাশাপাশি জানা গেছে, এদিন দুপুরবেলা ৩টের সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং ল ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) স্নেহমঞ্জু বসু ও রজত রায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। অন্যদিকে তদন্তে যে ২০ জন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে যাওয়ার পরেও ছাত্রাবাস আটকে রয়েছেন। তাদেরও ডাকার প্রক্রিয়াও চলছে।