অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতারের পর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হলে কথায় অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। আজ আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ২২ শে আগস্ট অবধি পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশ ২৫ শে আগস্ট পর্যন্ত হেফাজতে চেয়েছিল।
এদিন আদলতে সৌরভের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, ‘‘সৌরভ স্বপ্নদীপের বন্ধু, রুমমেট ও সহপাঠী কোনোটাই নন। আর সৌরভের ফোন থেকে ফোনও করা হয়নি। যার ফোন থেকে ফোন করা হয়েছিল, সেটা দেখা হোক। স্বপ্নদীপের বাবা সৌরভকে চিনতেন না। হয়তো ছেলের থেকে শুনেছেন।’’
আদালতে সরকারী কৌঁসুলি সৌরিন ঘোষাল বলেন, ‘‘তিন জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে হবে। দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সৌরভের ফোন। কল ডিটেলস খতিয়ে দেখা হবে। একটা অত্যাচারের গল্প পাচ্ছি। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নামও আসছে।’’
এদিকে সৌরভের পরিবারের দাবী, ‘‘সৌরভ নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার ছেলে ও রকম ছেলেই না। এটা যাদবপুরের ছেলেরাও বলবে যে, সৌরভ এ কাজ করতে পারে না।’’
সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী বলেছেন, ‘‘সৌরভের সাথে বিকেলবেলা কথা হলে জানায়, ‘‘আমি কোনো ভুল করিনি মা। আমার শাস্তি হবে না। আমি কাউকে র্যাগিং করিনি। কোনো দিন করিনি। আমার একটাই ভুল যে, ওর (স্বপ্নদীপ) বাবাকে বলেছিলাম আমি লক্ষ্য রাখব।’’