নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলিগুড়িঃ শিলিগুড়ির সংহতি মোড়ের একটি মল থেকে দু’টি কচ্ছপ কিনে বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখবেন বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন এক মহিলা। আর যার জেরে চরম বিপত্তি ঘটলো। এই কচ্ছপগুলি ভারতীয় টেন্ট প্রজাতির ছিল।
আর বন দপ্তর নেটমাধ্যমে সেই পোস্টের সূত্র ধরে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের তালিকায় দুষ্প্রাপ্য এই কচ্ছপ বিক্রির অভিযোগে মহিলার স্বামী অর্থাৎ সেবক রোড লাগোয়া বঙ্কিমনগরের বাসিন্দা বাপি দত্ত ও মলের দোকানদার কৌশিক ভৌমিককে গ্রেফতার করে মামলা রুজু করে আদালতে তুলেছেন।
আগেও কৌশিকবাবু কলকাতা থেকে এনে শিলিগুড়ির ওই মলে কচ্ছপ বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এবার সেই ক্রেতাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। এতগুলি রেঞ্জ, থানা এবং বিভাগ পেরিয়ে কলকাতা থেকে কচ্ছপ উত্তরবঙ্গে কিভাবে পাচার হচ্ছে তা জানার জন্য বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পাচার করিডরে নজরদারী বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে তদন্তকারীরা উদ্ধাররত কচ্ছপগুলিকে বেঙ্গল সাফারি পার্কের বন্য পরিবেশে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছেন। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রজাতির কচ্ছপ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তদন্তকারীরা বলেন, ‘‘ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই দাবী করেছেন যে, কচ্ছপ বাড়িতে পোষা যে অপরাধ তা কেউই জানতেন না।
তাই ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল।’’ আর প্রাথমিক ভাবে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় এই প্রজাতির কচ্ছপের চাহিদা রয়েছে। তাই নিয়মিত ভাবে কলকাতা থেকে বাসে করে শিলিগুড়িতে আনা হত। এই রকম কচ্ছপ আর কোন কোন মলে বা অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকান থেকে বিক্রি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।