অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কালীপুজোর রাত যতো গড়ালো ততোই বাজির দাপট বাড়লো। পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি ছাড়াও অন্যান্য বাজিও ফাটানো হয়েছিল।
কালীপুজোর আগের দিন সন্ধ্যাবেলা থেকেই কসবা, কাশীপুর, বেলেঘাটা, আনন্দপুর, যাদবপুর, মানিকতলার মতো বেশ কিছু এলাকা থেকে দেদার বাজি ফাটার অভিযোগ আসে। পুলিশ নানা মহলের সমালোচনার মুখে পড়ে রাতের দিকে জায়গায় জায়গায় ‘ব্লক-রেড’ শুরু করে।
এতে ১৮৫৬ কিলোগ্রাম বাজি ও ৪০৮ লিটার মদ উদ্ধার করার পাশাপাশি প্রায় ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাইকোর্টের নির্দিষ্ট সময়কে উপেক্ষা করে বিকেলবেলা থেকেই শহর জুড়ে নানা জায়গায় বাজি ফাটানো শুরু হয়ে গিয়েছে।
কসবা, তপসিয়া ও বেলেঘাটায় সব থেকে বেশি নিষিদ্ধ বাজি ফেটেছে। এর পাশাপাশি পর্ণশ্রী, বেহালা, তারাতলা, মানিকতলা, ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুর এবং কনভেন্ট রোডের মতো বেশ কিছু এলাকাও বাজি পোড়ানো হয়েছে। উল্টোডাঙা, গিরিশ পার্ক, জোড়াবাগান, বাগবাজার, শোভাবাজার সহ শিয়ালদহের বেশ কিছু এলাকায় পুলিশের বাজি ফাটার উপরে তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণই ছিল না।
তবে গতকাল রাতেরবেলা ৮ টা অবধি পুলিশ ২১৯ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিজ়ার্ভ ফোর্সের ডিসি দক্ষিণ কলকাতায় নিজে অভিযানে নামেন। ভাড়া নেওয়া অটোয় চড়ে অলি-গলি গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
এক পুলিশকর্তা জানান, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালবেলাও রাস্তায় বিক্রি হওয়া বাজির মধ্যে কোনটা পরিবেশবান্ধব কোনটা পরিবেশবান্ধব নয় তা বোঝা যায়নি। বুধবার সবুজ বাজি বিক্রির জন্য কিছু লাইসেন্স দেওয়া হলেও দক্ষিণ কলকাতার কোনো ব্যবসায়ী তা নিতে আসেননি। এর ফলে সবুজ বাজি না পেয়ে মানুষ যা পেয়েছেন তাই কিনেছেন’’।
রাজ্যের ‘বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতি’র সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না জানিয়েছেন, ‘‘আরো আগে সবুজ বাজি বিক্রির লাইসেন্স পাওয়া গেলে নিষিদ্ধ বাজির একটা বিকল্প নিয়ে বেশী সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো যেতো’’।