নিউজ ডেস্কঃ ইসরোর ‘ওয়ার রুমে’ জমা উদ্বেগ অবশেষে অবসান হলো। আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যাবেলা ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে। ঠিক শেষ এক কিলোমিটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরোর সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন। এরপর বিক্রম চাঁদের মাটি ছুঁতেই হাততালি দিয়ে ওঠেন। আর ভারতীয় পতাকা দোলায়িত করেন।
নরেন্দ্র মোদী এই চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের জন্য বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জানান, ‘‘আমি তিন চন্দ্রযানের সাথে যুক্ত সমস্ত বিজ্ঞানীকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। আজকের দিনটা ভারতকে আরো উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর দিকে নিয়ে গেল ঠিকই। কিন্তু হার থেকে শিক্ষা নিয়ে জয়ী হওয়া যায় কিভাবে, এই অভিযান তার প্রমাণও দিল। আমরা পৃথিবীর মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। চাঁদে গিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করলাম। এ হলো ভারতের উদীয়মান ভাগ্যের উদয়। সাফল্যের অমৃত বর্ষ।
আমি জানি এখন ভারতের ঘরে ঘরে উৎসব হচ্ছে। আমিও মনে মনে সেই উৎসবে আমার পরিবার-পরিজন, আমার দেশবাসীর সাথে যোগ দিয়েছি। বিজ্ঞানীরা ঠিকই বলেছেন ইন্ডিয়া ইজ নাউ অন দ্য মুন।’’ আবার ইংরেজী ভাষণে বললেন, ‘‘এই জয় শুধু ভারতের নয়। আমরা এক বিশ্বে বিশ্বাস করি। এক মানবজাতির সাফল্যে বিশ্বাস করি। আমাদের চন্দ্র অভিযানে ওই একই মানবতার লক্ষ্য রয়েছে।
তাই এই সাফল্য সমগ্র মানবজাতির জয়। ভারতের এই সাফল্য অন্য দেশের চন্দ্রাভিযানেও ভবিষ্যৎ এ সাহায্য করবে। আমরা এবার ‘মুন অ্যান্ড বেয়ন্ড’ সীমাহীনকে ছোঁয়ার জন্য আশাবাদী। ভারত প্রমাণ করল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিও পারে। এই সাফল্য আগের সমস্ত মিথ ভেঙে যাবতীয় সাফল্যের কাহিনী বদলে দেবে। এরপর ইসরো আদিত্য এল ওয়ান মিশন লঞ্চ করবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য শুক্রগ্রহও রয়েছে। আর গগনযান আছে। যার মাধ্যমে ভারত প্রথম বার মহাকাশে অভিযাত্রী পাঠাবে।’’
এর পাশাপাশি সকল ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘‘আমরা ভারতে পৃথিবীকে মা বলি আর চাঁদকে মামা বলি। ভারতের শিশুদের মায়েরা এত দিন বলে এসেছেন, ‘চন্দামামা দূর কি হ্যায়’। আমার বিশ্বাস খুব শীঘ্রই ভারতের আগামী প্রজন্মের শিশুরা বলবে ‘চন্দামামা ট্যুর কি হ্যায়’। অর্থাৎ আগামী প্রজন্ম চাঁদে পর্যটনের স্বপ্ন দেখবে। দূরের চাঁদমামা ট্যুরের চাঁদমামা হবে।’’ প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতার কাহিনীকে মাথায় রেখেই চন্দ্রযান-৩ এর অভিযান শুরু হয়েছিল।