নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ দুপুরের দিকে হাটে মাংস কিনতে বেরিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ছেলের মর্মান্তিক পরিণতি। কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ির এই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকলো। ভরা বাজারে পরপর গুলিতে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপুরে প্রকাশ্যেই সেখানে হল শুটআউট। ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হল ডায়াগুড়ির পঞ্চায়েত প্রধান কুন্তলা রায়ের ছেলেকে। নিহতের নাম অমর রায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজার করতে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। তখনই দু’টি বাইক চেপে আসে দুষ্কৃতীরা। পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। যার আতঙ্কে প্রাণ বাঁচিয়ে ছুটতে দেখা যায় বাজারে উপস্থিত এলাকাবাসীদের। যখন পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়, তখন দেখা গেল রাস্তার মধ্যে লুটিয়ে পড়েছে প্রধানের ছেলে। রক্তাক্ত পরিস্থিতি। শরীরেও হয়তো প্রাণ নেই। গুলিবিদ্ধ আরও এক।

তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তৃণমূল নেতার ছেলেকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, চিকিৎসারত রয়েছেন গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবক। হাসপাতাল সূত্রে খবর আহতের পায়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। যারা আপাতত পলাতক। ইতিমধ্যেই নিহতের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে কোচবিহারের এমজিএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরিবারও সেখানে পৌঁছেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পৌঁছেছেন অমল রায়ের বাবা পার্থপ্রতীম রায়ও। ছেলের পরিণতিতে রীতিমতো মর্মাহত তিনি। কিন্তু কারা খুন করল তাঁকে? কেনই বা করল? নেপথ্য কি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? এই প্রসঙ্গে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। গোটটাই এখনও ধোঁয়াশা। অন্ধকারে রয়েছে পুলিশও। এমনকি, এদিন হাটে যাওয়ার সময় নিজের গাড়ি ও চালককে নিয়ে গিয়েছিলেন নিহত অমল রায়। কিন্তু সেই গাড়ি ও চালক এখন কোথায়? তা জানা যায়নি। অন্যদিকে, দলের তরফে জানান হয়েছে, নিহত নিজেও যুব তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।












