নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মধ্যপ্রদেশঃ চোরাশিকারীদের ফাঁদে পড়ে বহুবারই মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য বন্য প্রাণীদের। গতকাল মধ্যপ্রদেশের কানহা বাফার এলাকার খাপা রেঞ্জের অন্তর্গত বামনি বিট থেকে বনকর্মীরা একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনীর দেহ উদ্ধার করেন। গলায় চোরাশিকারীদের ফাঁদ পাতা তারের ফাঁস আটকে ছিল। ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ হয়েই বাঘিনিটির মৃত্যু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনের কর্মী সাগ্নিক সেনগুপ্ত বলেন, ”মূলত মোটারবাইকের ব্রেকের তার দিয়ে ওই মারণ-ফাঁদ তৈরি হয়। এর পাশাপাশি চোরাশিকারীরা পশুর দেহে বিষ প্রয়োগও করে মেরে ফেলছে”।
মধ্যপ্রদেশ বন দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বামনি এলাকার অদূরেই ছত্রিশগড়ের চিলফি ঘাঁটি। সেখানে মাওবাদীরা রয়েছে। ফলে বনকর্মীদের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে টহলদারি চালানো কঠিন।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা ‘শের’-এর সম্পাদক জয়দীপ কুণ্ডু বলেছেন, ”সাম্প্রতিক কালে মধ্যভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চোরাশিকারীদের তত্পরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঘ ছাড়াও হরিণ, ভালুক, চিতাবাঘের মতো প্রাণী প্রতিনিয়ত তারের ফাঁদে পড়ে মৃত্যু ঘটছে”।
কানহা ব্যাঘ্রপ্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর নরেশ সিংহ যাদব বলেছেন, ”জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা মেনে বাঘিনীর দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। আর ওই এলাকায় চোরাশিকারীদের গতিবিধি সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করেই বাঘিনীটিকে মেরে ফেলা হয়েছে”।