ব্যুরো নিউজঃ আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে যে, “ওমিক্রন ঠিক কতোটা সংক্রামক ও বিপজ্জনক তা এখনো আমরা জানি না। যদি ওমিক্রনের জন্য কোভিডের আরো একটি ঢেউ আসে তবে তার পরিণতি খারাপ হবে। আর এখনো অবধি ওমিক্রনের সংক্রমণে কেউ মারা যায়নি”।
প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় এই নতুন স্ট্রেন অর্থাৎ ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে জানানো হয় যে, আরো বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে ওমিক্রনের গবেষণা করতে হবে তাহলেই নির্দিষ্ট তথ্য জানা যাবে। আর এখনো পর্যন্ত ভারতেও ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অবশ্য গত ২৪ শে নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে আগত মহারাষ্ট্রের ডোম্বিভ্যালিতে এক ব্যক্তি কোভিড পজিটিভ হন। ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তির দেহ থেকে নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি কর্নাটক থেকে কেরালার সীমান্তবর্তী মাইসুরু, মাদিকেরি, দক্ষিণ কন্নড় এবং চামরাজনগর জেলাগুলিতে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেছেন, “যারা কেরল থেকে আমাদের রাজ্যে আসছেন তাদের অনেকে করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে, হংকং, বটসোয়ানা ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কাউকে যেন ভারতে না আসতে দেওয়া হয়”।
ওই দেশগুলিতেই প্রথমে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট দেখা গিয়েছে। বর্তমানে তা মোট ১৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে জাপান বিদেশী পর্যটকদের আসা বন্ধ করেছে। নতুন ভ্যারিয়ান্টের ওপরে ভ্যাক্সিন কাজ করে কিনা কিংবা দ্বিতীয়ত কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় ওমিক্রন বেশী না কম সংক্রামক তা জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীরা।