অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ লোকসভা ভোটের আগে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক সরকারী অনুষ্ঠানে তফশিলী জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীদের জন্য নতুন প্রকল্প ঘোষণা করলেন। যার নাম ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের নাম ঘোষণার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘আজ এসসি-এসটি পড়ুয়াদের জন্য একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিলাম। বিভিন্ন সরকারী পরীক্ষা থেকে শুরু করে নিট, জেইই ও ওয়েস্ট বেঙ্গল জেইই পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলো। এর নাম যোগ্যশ্রী দিলাম। ২ হাজার ২৫৪ জন ট্রেনিং নিয়ে কোর্সে চান্স পেয়েছে। জেলায় জেলায় পঞ্চাশটি সেন্টার চালু হয়েছে। আর চাকরীর পরীক্ষার ট্রেনিংয়ের জন্য জেলায় দু’টি করে মোট ৪৬টি সেন্টার করা হচ্ছে।’’
এছাড়া আরেকটি নয়া প্রকল্প প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘চলতি বছর আরো একটা নতুন স্কিম চালু করলাম। স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ স্কিম। আমি চাই ছোটোবেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা সরকারী কাজের প্রশিক্ষণ নিক। এই প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রত্যেকে সার্টিফিকেট পাবে। এক বছরের জন্য আড়াই হাজার পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপ করতে দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের যোগ্যতার বিচারে তাদের চাকরী রিনিউ হবে। ইনটার্নশিপ করার সময় পড়ুয়ারা দশ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পাবেন।
এতে ছাত্র জীবন থেকে প্রশাসনিক ধারণা তৈরী হয়ে যাবে। আমরা এই ভাবে গ্রাসরুট থেকে লোক তুলে আনার চেষ্টা করছি।’’ পাশাপাশি আলিপুর থেকে ভাঙড়ে কলকাতা পুলিশের বেশ কিছু উদ্যোগের সূচনা করে বলেছেন, ‘‘আজ আমরা ভালো কাজ করলাম। কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের কাশিপুর, চন্দনেশ্বর, পোলেরহাট, ভাঙড় ট্রাফিক গার্ড, ভাঙড় থানার নতুন ভবন এবং ভাঙড় ডিভিশনের নতুন অফিসের উদ্বোধন করা হলো।
এছাড়াও এটা কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন হয়েছে। আমি বলব খেয়াদা এক ও দুইকে সাথে নিয়ে নিতে। কারণ এটা বানতলার একদম পাশে। সুতরাং ওই জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ওখানে কেউ দেখার থাকছে না। পিতৃ-মাতৃহীন হয়ে পড়ে আছে। তাই অনেকে নানা রকম কাজ-কর্ম করছে। আর এগুলোর যাতে সুযোগ না পায়।’’