নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করলেন ও একাধিক নির্দেশ দিলেন। এমনকি দলীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের নিজেদের তহবিলের টাকা ভাঙা রাস্তা ও বিদ্যালয়ের জন্য খরচ করার কথা বললেন। পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিক এবং ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার মতো ঘটনা নিয়েও কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘‘বীরভূমের অনেক জায়গায় জল জমেছিল। তবে এখন নেমেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যেসব দপ্তর রয়েছে, তাদের সকলের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেদিকে নজর রাখতে হবে।’’ এরপর দলীয় সাংসদ ও বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘বিধায়কদের, তাদের তহবিলের টাকা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাগুলোর যতটা সম্ভব উন্নতি করার জন্য বলা হয়েছে। আর সাংসদের ভাঙা বিদ্যালয় মেরামতের জন্য এক কোটি টাকা খরচ করতে এবং গ্রামীণ রাস্তার জন্য চার কোটি টাকা খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
বাংলার বন্যা পরিস্থিতি জন্য আবারও এক বার ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বলেছেন, ‘‘প্রতি বছর ডিভিসি জল ছেড়ে ‘ম্যান মেড’ বন্যা তৈরী করে। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের চিন্তা হয়। বাংলার বর্ষায় বাংলায় বন্যা হয় না। ঝাড়খণ্ডের জলে প্রতি বছর বাংলায় বন্যা হয়। জলশক্তি মন্ত্রক আমাদের না জানিয়ে জল ছেড়েছে।’’ পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুললেন।
বাংলার আবাস যোজনার আওতায় যে এগারো লক্ষ বাড়ি বানানোর কথা রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, সেই তালিকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যুক্ত করার কথাও উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ‘‘বন্যায় যে বাড়িগুলো সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে গিয়েছে, তা এগারো লক্ষ বাড়ির তালিকায় আছে কি না দেখতে হবে। যদি না থাকে তা সমীক্ষা করে যোগ করতে হবে। যেখান থেকেই হোক টাকা জোগাড় করে সেই বাড়িগুলো করা হবে।’’