এবার ভারতেও ঢুকে পড়ল করোনার নতুন স্ট্রেন

Share

মিঠু রায়ঃ অবশেষে করোনার নতুন স্ট্রেনকে ভারতে প্রবেশ করা আটকানো গেলো না। ব্রিটেন ফেরত আরও ১৪ জনের শরীরে মিলল করোনার নতুন স্ট্রেন।

গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, “টেস্টের মাধ্যমে মোট ২০ জনের শরীরে করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলল। দেশে নতুন স্ট্রেনে সংক্রমিত ২০ জনের মধ্যে ৮ জন দিল্লির ৭ জন বেঙ্গালুরুর ২ জন হায়দ্রাবাদের ও ১ জন পুনের। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এদের সকলকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের সহযাত্রী সহ তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে”।

করোনার নতুন স্ট্রেন প্রথম পাওয়া যায় ব্রিটেনে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান পরিষেবা ভারতের পাশাপাশি অনেক দেশই বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। গত ২৩ শে ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩১ শে জানুয়ারী পর্যন্ত ব্রিটেনের সব উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১ লা জানুয়ারী থেকে এই পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই এখন ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করেছে।


সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, এর আগে ২৫ শে নভেম্বর থেকে ২৩ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৩ হাজার মানুষ ব্রিটেন থেকে ভারতে এসেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১১৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। আর ২০ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেন।

ব্রিটেনের পাশাপাশি এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডে। করোনার ভয়াভতা দেখে মহারাষ্ট্র সরকার রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি করেছে আর ইউরোপ ও মিডিল ইস্ট থেকে আসা সমস্ত রোগীদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।


অপরদিকে গতকাল থেকে আসাম, পাঞ্জাব, গুজরাট ও অন্ধ্রপ্রদেশে ভ্যাক্সিনের ড্রাই রান চলছে।

বিশেষজ্ঞরা রিসার্চের মাধ্যমে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৩ বার মিউটেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে। মাঝের একাধিক মিউটেশনে ভাইরাস ভয়ানক রূপ নেয়নি। কিন্তু এই নতুন স্ট্রেন বেশ বিপজ্জনক। এর ফলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
করোনার এই নতুন স্ট্রেন ৭০ শতাংশ বেশি দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়। যাদের শরীরে ইমিউনিটি ক্ষমতা কম সেক্ষেত্রে তাদের শরীরে করোনার এই নতুন স্ট্রেন ভয়ানক প্রভাব ফেলছে। তবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তাই দ্রুত ভ্যাক্সিন না বের হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031