মিনাক্ষী দাসঃ দীঘা মানেই বাঙালীর অত্যন্তপ্রিয় ও মনোরম পর্যটনকেন্দ্র। উচ্ছ্বল সমুদ্রের টানে এখানে পর্যটকরা বারবার ছুটে আসে। সারা বছরই এখানে পর্যটকদের সমাগম হয়। নিস্তব্ধতার কোনো আঁচও পাওয়া যায় না এখানে। কিন্তু করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দীঘার চিরাচরিত এই রূপের পরিবর্তন হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে আর তার সাথেই নয়া রূপে সেজে উঠছে দীঘা। দীঘায় শুরু হচ্ছে থ্রিডি প্রোজেকশন ম্যাপিং লাইটিং সিস্টেম।
থ্রিডি প্রোজেকশন অর্থাৎ আধুনিক লাইটিং প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে আলো ও ছায়ার মাধ্যমে জায়েন্ট স্ক্রিনের উপর ভিন্ন ধরণের অবয়ব ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। যেকোনো বাড়ির দেওয়ালকে জায়েন্ট স্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে দিল্লির ইন্ডিয়া গেট ও প্যারিসের আইফেল টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। একদিকে ঝলমলে রঙিন আলো অন্যদিকে বাতাসের দোলায় সুরের ছন্দ মিশে এক মায়াবী পরিবেশে পরিণত হচ্ছে সমুদ্র সৈকত।

- Sponsored -
করোনার জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে দীঘায় পর্যটকদের সমাগম না থাকায় বহু মানুষের রুজি-রুটিতে বিঘ্ন ঘটেছে। তাই পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, নতুন বছর থেকেই দীঘার এই নতুন রূপ দেখতে ভিড় জমাবেন সমুদ্রপ্রেমীরা। যার ফলে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশাবাদী তারা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, নতুন বছরেই পর্যটকদের কাছে এক আকষর্ণীয় উপহার হতে পারে নয়া দীঘা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দীঘা ও শংকরপুর পর্যটনকেন্দ্রের নয়া কালীমন্দিরের কাছেই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। যা সকল পর্যটকপ্রেমীর নজর কাড়বে।