নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কাশ্মীরঃ এ যেন সাম্প্রদায়িক বিভেদ-বিভাজন ভুলে গিয়ে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। এই ঘটনাটি কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার তহাব এলাকায় ঘটেছে।
সত্তরোর্ধ্ব পণ্ডিত চমন লাল একজন বিএসএনএলের কর্মী ছিলেন। পণ্ডিত চমন লালের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে-মেয়েরা সকলেই জন্মুতে বাস করেন। ফলে শুক্রবার গভীর রাতে তার মারা যাওয়ার সময় পরিবারের কেউ কাছে ছিলেন না। কিন্তু তাই বলে পাশে দাঁড়ানোর মানুষের অভাব হয়নি। তাই পণ্ডিত চমন লালের মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার প্রতিবেশী প্রায় ১০০ জন মুসলিম সত্কারের কাজে এগিয়ে এসে কাঠ দিয়ে চিতা সাজিয়ে দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএরফলে ভালো ভাবে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রতিবেশীরা বলছেন, “এটা তাদের কর্তব্য ধর্ম যাই হোক না কেন ইসলাম ধর্ম প্রতিবেশীর যত্ন নিতে শেখায়। তারা নিজেদের সেই ধর্মই পালন করেছেন”। আবার কারোর কথায়, “চমন লাল আমাদেরই একজন ছিলেন। আমরা ওকে কখনো পণ্ডিত হিসেবে দেখিনি। বহু বছর ধরে তিনি এখানকার বাসিন্দা ছিলেন। আমরা একসঙ্গে বসবাস করেছি। তাই আমরা ওর শেষযাত্রায় সঙ্গে ছিলাম”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৯০ সালের অশান্ত কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা প্রাণ রক্ষা করতে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তবে তার প্রতিবেশীদের ওপর বিশ্বাস ছিল। যারফলে পণ্ডিত চমন লাল কখনোই উপত্যকা ছেড়ে যাননি। আর পুরো জীবন কাশ্মীরের বুকে নিশ্চিন্তে কাটিয়েছেন।