মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি বীরভূমে
দ্বিজেন্দ্রপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ঃ বীরভূমঃ ‘বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে বীরভূম’। বীরভূমের একাধিক এলাকায় সদ্যসমাপ্ত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরে বোমাবাজির মতো ঘটনা চোখে পড়ছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে বোমা উদ্ধার করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে যে ছবি ধরা পড়েছে তা প্রমাণ করে এখন বোমা বারুদ যেন ইট পাথরে পরিণত হয়েছে। এমনটাই মত বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীদের।
শুক্রবার দুপুর থেকে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত খোঁজমহম্মদপুর গ্রাম ভোট-পরবর্তী হিংসার কারণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যেখানে দুষ্কৃতীদের ইট পাথরের মতো বোমা ছুঁড়তে দেখা যায়। চতুর্দিকে বোমার আওয়াজ এবং ধোঁয়া। আর এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ওই গ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষেরা আতঙ্কিত।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই গ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ আজম এই হামলার মূল কারিগর। দুবরাজপুর থানার এসআই অমিত চক্রবর্তীর খুনের ঘটনায় সেই সময় এই তৃণমূল নেতা শেখ আজমের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু তিনি হঠাৎ কেন এলাকায় এমন বোমাবাজি শুরু করলেন?
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই তৃণমূল নেতা শেখ আজমের ধারণা তৃণমূলের কিছু মানুষজন সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের বিজয় বাগদীকে ভোট দিয়েছে। তাই এই ধারণার ভিত্তিতেই শেখ আজমের লোকজন গ্রামের লোকেদের উপর বোমাবাজি শুরু করে। গতকাল বিকালবেলা দুবরাজপুর থানার পুলিশ গিয়ে বোমাবাজি বন্ধ করলেও ফের রাত বাড়তেই মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দুবরাজপুর থানা এলাকায় এত বোমা পড়েছে বলে কারোর জানা নেই। আশেপাশের গ্রামের মানুষজন ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এমনকি রাতেও এতো পরিমাণ বোমা পড়েছে যে পুলিশকে গ্রামের বাইরেই থাকতে হয়। পরে বিশাল পরিমাণ পুলিশ গিয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনে। এলাকায় টানটান উত্তেজনা রয়েছে। গ্রামের মানুষের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ।