ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ ফের বাংলাদেশে ৫ই আগস্টের ছবি ধরা পড়লো। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ঠিক যেভাবে কট্টরপন্থীদের উল্লাস ধরা পড়েছিল, তেমনভাবে গতকাল নতুন করে ওই পরিস্থিতি তৈরী হলো। এবার হামলাকারীদের হাত থেকে ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে অবস্থিত শেখ হাসিনার বাড়ি ‘সুধা সদন’ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িও রক্ষা পেল না। এদিন বিরোধী বিক্ষোভকারীরা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করে। আর এই অশান্তির আঁচ নতুন করে দেশ তথা এ রাজ্যে পড়তে চলেছে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি ফেসবুকে মুজিবর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। প্রথমে রাতেরবেলা ৯টায় সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও কর্মসূচী পরিবর্তন করে ৮টায় নিয়ে আসা হয়। প্রথমেই তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ওই বাড়ি তথা জাদুঘরে গিয়ে বাইরের ফটক ভেঙে ফেলে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু হয়।এছাড়া তিনতলায় আগুনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়েরা জল দিয়ে নীচের দিকের আগুন নেভান। কিন্তু পুরো বাড়ির আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
বাড়ির দরজা-জানলা, বইপত্র, লেপ, তোশক, কম্বল, ফ্রিজ, সোফা সহ অধিকাংশ আসবাবপত্রও পুড়ে গিয়েছে। এদিন সকালবেলা থেকে জেসিবি যন্ত্র দিয়ে ছ’তলা ভবন নির্মমভাবে ভাঙার কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি, ভেঙে ফেলা ভবনেরর সামনে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। এমনকি অনেকে সেলফিও তুলেছেন। বহু সাধারণ মানুষ মুজিবর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘর থেকে বইপত্র, ইট-কাঠ-পাথর তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনীর কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। তাই নিরাপত্তার অভাবে দমকল বিভাগও সেখানে পৌঁছায়নি।
এর আগে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা ভারত-বিদ্বেষী শ্লোগান দিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে অশান্তির পর থেকে ভারতে ক্রমেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়ছিল। সেই অনুপ্রবেশ রুখতে বিএসএফ জওয়ানরা অত্যন্ত তৎপর। প্রায় প্রতিদিনই বিএসএফ আধিকারিকরা অনুপ্রবেশ রুখে চলেছেন। কখনো বা পাচারকারীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করছেন। এখন নতুন করে এই অশান্তির পরিস্থিতি তৈরী হতেই বিএসএফ সীমান্তগুলিতে আরো সতর্ক থাকবে। আর যেকোনো পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা জন্য তৈরী হচ্ছেন। পাশাপাশি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাও সব পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।