অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ মোহনবাগান ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরী হয়। এর জেরে মোহনবাগানেরই এক জন মহিলা সদস্য আহত হয়েছেন। যিনি নিজের ক্লাবেই ‘আনসেফ’ মনে করছেন।
এদিন মোহনবাগানে বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। এই সভায় সৃঞ্জয় বোসের বিরোধী শিবির নির্বাচনের দাবী তোলে। এরপরই তৃণমূলের ত থেকে হই হট্টগোল। এর মাঝেই শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। সে কারণেই আহত হন সেই মহিলা সদস্য সুরভী দাস। যদিও সাধারণ সভায় এমন ঘটনা হয়েই থাকে এবং চেয়ার ‘সৌজন্য’-এর কথাও তুলে ধরেন মোহনবাগানের ভাইস প্রেসিডেন্ট। মোহনবাগানে বার্ষিক সাধারণ বিরোধীরা উই ওয়ান্ট ইলেকশন লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সৃঞ্জয় বোস বলেন, ‘২০২২ সালে নির্বাচন হয়নি।’ সভাপতি দেবাশিস দত্তর দাবি, বিরোধী শিবির যদি মনোনয়ন জমা না দেয় তা হলে কী করা যাবে।

- Sponsored -
যার প্রেক্ষিতে সৃঞ্জয় বোস মনে করিয়ে দেন, বিরোধী শিবির থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া হলেও তাঁকে প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছিল। মূল দাবি ছিল, নির্বাচন হোক। শাসক শিবিরের তরফে যখন নির্বাচনের বিরোধীতা করা হয়, সেই সময় বিরোধী পক্ষও সরব হয় এবং শুরু হয়ে যায় দু-পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এই ঘটনাতেই মোহনবাগানের মহিলা সদস্য সুরভী আহত হন। হাতে, কোমরে চোট লেগেছে। সুরভী বলেন, ‘এজিএম চলাকালীন অনেকেই নানা বিদ্রুপ করছিলেন। এই ক্লাবের লনে বসে জায়ান্ট স্ক্রিনে বহু ম্যাচ দেখেছি। আজকে যা পরিস্থিতি হল তাতে আমার পরবর্তীতে ক্লাবে আসতে ভয় লাগবে। নিজেকে আনসেফ মনে করছি।’
সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ চেয়ার ছোড়াছুড়ি প্রসঙ্গে বলেন, ‘না না আপনারা ভুল করছেন। প্রচুর লোক হয়েছিল। সদস্যরা একে অপরকে চেয়ার এগিয়ে দিচ্ছিল। এটা তো সৌজন্য। একটু উত্তপ্ত তো হবেই। পাড়ার ক্লাবেও এরকম উত্তেজনা হয়ে থাকে।’ বিরোধী শিবিরের সৃঞ্জয় বোসের একটাই দাবি, ‘নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হোক। ২০২২-এর মার্চে এই কমিটি গঠন হয়েছিল। হিসেব মতো এ বছর নির্বাচন হওয়ার কথা। শাসক শিবির কি চাইছে এই প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা?’ শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের এই পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে আসরে নামেন সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার দ্রুতই মিটিং করুক এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করুন।’ পরে ক্লাবের তরফে জানানো হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইলেকশন কমিটির তরফে একটি মিটিং হবে। দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের ডাকা হচ্ছে এই মিটিংয়ে।