বন্ধ স্কুলে রমরমিয়ে চলছে হাটের ব্যবসা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রাম জুনিয়র হাই স্কুল বন্ধই পড়ে রয়েছে। আর এখন প্রতি মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ে হাট বসছে। বিদ্যালয়ের বারান্দা, মাঠ দখল করে পসরা সাজিয়ে দেদার বিকিকিনি চলছে। কিন্তু বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদের দূরের বিদ্যালয়ে যেতে হয়। তাই এলাকাবাসীরা বিদ্যালয়কে আগের অবস্থায় ফিরে পেতে চাইছেন।

বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, প্রায় ২৫০ টি বিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির হার কার্যত শূন্য। অথচ সেগুলিতে পাঁচ জন-ছয় জন করে শিক্ষক রয়েছেন। আবার এমনও অনেক বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশী থাকলেও শিক্ষক তুলনায় অনেক কম। মঙ্গলকোটের এই বিদ্যালয়েও একই পরিস্থিতি। এলাকাবাসীদের দাবীতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সরকার অনুমোদিত এই বিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়। প্রথমে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী অবধি শতাধিক পড়ুয়াদের জন্য দু’জন অতিথি শিক্ষক ছিলেন। তবে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগও হয়নি। আর পড়ুয়ার সংখ্যাও কমে আসে।


২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে একমাত্র অতিথি শিক্ষক পড়াতে আসা বন্ধ করলে বিদ্যালয়েও তালা পড়ে যায়। এখন প্রতি মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয় চত্বরে হাট বসে। যেখানে লাউ, ফুলকপি, বাধাকপি, বিভিন্ন ধরনের শাক-সব্জি থেকে শুরু করে মশলাপাতি সবই পাওয়া যায়। এমনকি বাদ যায়নি গরম গরম চপ-বেগুনি বিক্রেতাও। কিন্তু এবার এলাকাবাসীদের একাংশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন, যাতে নতুন করে বিদ্যালয় চালু করা হয়।


জেলা শিক্ষা দপ্তরের এক জন আধিকারিক জানান, “বিদ্যালয় চত্বরে হাট বসার কথা জানা নেই। তবে বিদ্যালয়ে হাট বসলে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি, দপ্তরও বিদ্যালয় চালু করার বিষয়েও যথেষ্ট উদ্যোগী হবে।” এদিকে, ভাল্যগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কামরুল ইসলাম হাট বসার কথা স্বীকার করে বলেন, “করোনার সময় গ্রামের ভিতরে থাকা হাট রাস্তার ধারে নিয়ে এসেছিলাম। রাস্তায় গ্রামবাসীদের যাতায়াতের অসুবিধার জন্য বিদ্যালয়ে হাট বসানো হচ্ছে।” অন্যদিকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেছেন, “সেখানে হাট বসছে কিভাবে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031