নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ একদিকে যেমন দীর্ঘ কাল শিক্ষক নিয়োগ হয়নি তেমনই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই শহরে বদলি হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্য জুড়ে শিক্ষকের অভাবে একের পর এক বিদ্যালয় বন্ধও হয়ে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ না করলে বিদ্যালয়গুলিকে বাঁচানো মুশকিল হবে বলে শিক্ষা শিবির জানাচ্ছে।
শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, “বহু গ্রামে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয় নেই। বিদ্যালয়ে যেতে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয়। তাই কোনো ছেলে-মেয়ে যাতে বিদ্যালয় ছুট না হয় সেই কথা ভেবেই উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরী করা হয়েছে। অনেকেই গ্রামীণ এলাকায় এই ধরণের বিদ্যালয়ে পড়ে।”
বীরভূমের লাভপুর ব্লকের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সরিফুল মোল্লা জানান, “শিক্ষকের অভাবে তাঁর এলাকায় তিনটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্য বেশ কয়েকটি ধুঁকছে। বিভিন্ন বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষকদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছিল। সরকারী বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকেরাই এই কাজ করছিলেন। কিন্তু পাঁচ থেকে সাত হাজারের মধ্যে বেতন পাচ্ছে।
এত কম বেতনে কেউ কাজ করতে চাইছেন না।” এই একই কথা মালদা ও কোচবিহারের কয়েক জন অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক বলেছেন। অর্থাৎ শিক্ষকের অভাবেই বিদ্যালয়গুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বহু পড়ুয়া স্কুলছুটও হচ্ছে।
এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক জন কর্তা এই প্রসঙ্গে আশ্বাসের সুরে বলেছেন, “উচ্চ প্রাথমিকের নির্ভুল মেধা-তালিকা আদালতে জমা দেওয়ারকাজ চলছে।”