ব্যুরো নিউজঃ সৌদি আরবঃ কাবুলের পর সৌদি আরবে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল। আচমকা এই ড্রোন হামলায় আহত হয়েছেন ৮ জন ব্যক্তি। আপাতত মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া একটি যাত্রীবাহী বিমানও বেশ গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার এই বিমানবন্দরের উপর হামলা চালানো হলো। ইয়েমের সাথে সৌদির লাগাতার বিবাদের ফলশ্রুতি হিসেবেই এই ড্রোন হামলাকে দেখা হচ্ছে। এর আগের হামলাম অভিঘাত অবশ্য কম ছিল। সেই হামলায় কেউ আহত হননি।
সৌদি আরব ও ইয়েমেনের মধ্যে এই ঠান্ডা যুদ্ধের ইতিহাস দীর্ঘ হলেও গত এক মাসে তা ক্রমশ বড়ো আকার ধারণ করছে। অতি সম্প্রতি দক্ষিণ ইয়েমেনের এক সেনা ঘাঁটিতে একটি মিসাইল হামলা চালানোর জেরে অন্তত ৩০ জন ইয়েমেনের সেনার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই সৌদি আরবের প্রতি ইয়েমেন আরো আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েছে। সেই কারণেই এই হামলার নেপথ্যেও ইয়েমেনের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকেই ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীরা সৌদি সেনার সঙ্গে ঠাণ্ডা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সৌদি আরবের বিমানবন্দর বা সেনা ছাউনিগুলিকে নিশানায় নিয়ে হামলা চালিয়ে থাকে। সৌদি আরবের পেট্রোলিয়ামজাত সম্পত্তির উপরও নজর রেখেছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবের আভা এবং জিঝানের মতো শহরে ইয়েমেনের চালানো হামলার জেরে কয়েকশো সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন নিহত হয়েছেন। এমনকি যেকোনো মুহূর্তে সৌদি আরবও ইয়েমেনের একাধিক জায়গায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। এর ফলস্বরূপ সৌদির চালানো হামলায় ইয়েমেনের হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে বহু সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে।