মিনাক্ষী দাসঃ স্বাদে-গন্ধে মটন বাঙালীদের খুব প্রিয়। কিন্তু কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখ সহ ট্রাইগ্লিসারাইডে ভুক্তভোগী রোগীদের চিকিৎসকরা মটন খেতে একেবারেই নিষেধ করে থাকেন। তবে মাঝের মধ্যে ডায়েট অনিয়ম করে কষা ও ঝোল ছাড়া মটনের এই নতুন পদের সুস্বাদু খাবার খাওয়া যেতেই পারে।
তাই এবার বাড়িতেই চটপট বানিয়ে ফেলুন কাশ্মীরি মশলা এবং লঙ্কার ঝাঁজে তৈরী মটন রোগানজোস। মটনের এই দুর্দান্ত রেসিপি লাল রং বা রোগান এর জন্য বিখ্যাত। আর সব থেকে বড়ো কথা, যারা নিরামিষ মাংস খান এই পদটি তাদের জন্য একেবারে প্রযোজ্য।
উপকরণঃ ১ কেজি মটন, ২ টি তেজপাতা, ১ কাপ টক দই, ১ টি বড়ো এলাচ, ৩ থেকে ৪ টি ছোটো এলাচ, ১ চা চামচ হিং, ১ চামচ ধনে গুঁড়ো, ১ চামচ মৌরি গুঁড়ো, ৭ থেকে ৮ টি লবঙ্গ, ১ ইঞ্চির টুকরোর দারচিনি, ২ চামচ কাশ্মিরী লঙ্কার গুঁড়ো, ১ চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন ও পরিমাণ মতো রতনযোগ।

- Sponsored -
প্রণালীঃ প্রেসার কুকারে সর্ষের তেল ঢেলে ধোঁয়া ওঠা অবধি গরম করে এরপর প্রেসার কুকারটি গ্যাস থেকে নামিয়ে সমস্ত গোটা মশলা ফোড়ন দিয়ে ফের প্রেসার কুকারটি গ্যাসে বসাতে হবে। তারপর সেদ্ধ করে রাখা মটন দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে মটন হালকা ভাজা হয়ে গেলে তাতে ফেটানো টক দই দিতে হবে। এরপর সব গুঁড়ো মশলা মিশিয়ে অল্প আঁচে কষাতে হবে।
তারপর মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে তাতে গরম জল মিশিয়ে নাড়াচড়া করতে হবে। এরপর স্বাদ মতো নুন দিয়ে গ্রেভির লাল রং এর জন্য পরিমাণ মতো রতনযোগ দিয়ে প্রেসারের ঢাকনা লাগিয়ে চার থেকে ছ’টা সিটি ওঠা পর্যন্ত রেখে দিতে হবে। একদম শেষে গরম মশলার গুঁড়ো মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। ইচ্ছে হলে পরিমাণ মতো ধনে পাতা দেওয়া যেতেই পারে।