নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গুজরাত দেশ তথা সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড়ো ঘন্টা গুজরাতের আহমেদাবাদের মন্দসৌরের অষ্টমুখী দেবতা পশুপতিনাথকে নিবেদন করা হচ্ছে। অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি এই ঘন্টার ওজন ৩৭ কুইন্টাল। মন্দসৌর কালেক্টরের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয় যে, ‘এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘন্টা’।
ঘন্টার ওপরে একটি ত্রিশূল ও বিল্ব পত্র বসানোর নকশা করা হয়েছে। এই বৃহত্তর ঘন্টাটি পশুপতিনাথ মন্দির কমপ্লেক্সে লাগানো হবে। এটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে অতি সহজেই যেকোনো মানুষ ঘণ্টাটি বাজাতে পারে।
যখন আহমেদাবাদের মন্দসৌর থেকে এই ঘন্টা নিয়ে শোভাযাত্রায় বেরোনো হয় তখন চারিদিকে বিরাট জনসমাগমও হয়। ভক্তরা ব্যান্ডের তালে তালে নাচ-গান করতে করতে এই মহাসমারোহে অংশ নেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here২০১৫ সালে বিশালাকার এই ঘন্টাটির সূচনা করা হয়। তিন বছর ধরে এই কাজ চলার পর শেষমেশ এই ঘন্টা তৈরির কাজ শেষ হয়। এই ঘন্টা তৈরির জন্য প্রায় ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। এই ঘন্টা তৈরির অভিযানকে জেলা জুড়ে গণআন্দোলন বানানো হয়।
সাধারণ মানুষ মনে করেন এই ঘন্টা বানাতে ধাতু দেওয়া অত্যন্ত পুণ্যের একটি কাজ। তাই জেলা জুড়ে মানুষ বাড়ি থেকে পুরোনো ধাতুর নানান সামগ্রী এবং বাদ পড়ে যাওয়া ধাতুর নানা জিনিস সহ ধাতুর নতুন থালা বাসনও ঘন্টা নির্মাণে দান করেছেন। সাধারণ মানুষ এই ঘন্টার নির্মাণের জন্য মোট ৪ হাজার ৩০০ কেজি ধাতু প্রদান করেছেন। এই সমস্ত ধাতু গলন করে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম এই ঘণ্টা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।