অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি রয়েছে। ফলে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করল হাওয়া অফিস। যদিও উপকূলের কাছে আপাতত মাছ ধরতে যাওয়ায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার এবং রবিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
গত দু’দিন বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। শনিবারও সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি চলছে শহরের একাংশে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব ক’টি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। সোমবার থেকে পর পর তিন দিন আবার শুকনো আবহাওয়া থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি আবার বাড়তে পারে জেলায় জেলায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২০ অক্টোবর, রবিবার উচ্চচাপ বলয় তৈরি হতে পারে উত্তর আন্দামান সাগরের উপর। তার প্রভাবে ২২ অক্টোবর, আগামী মঙ্গলবার মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপ অঞ্চল সাগরের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার প্রভাবে ২৩ এবং ২৪ অক্টোবর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপর ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ২২ এবং ২৩ অক্টোবর হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার থেকে ৪৫ কিলোমিটার। ওই অংশে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। তাই ওই দুই দিন মাছ ধরতে বেরোলেও গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদেরা। এ ছাড়া উপকূলের কাছে সমুদ্রে উঁচু ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার ঢেউ থাকতে পারে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
নৌকা নিয়ে সমুদ্রে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। পর্যটকদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে আগামী সপ্তাহেও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও উত্তরবঙ্গে আপাতত কোনও সতর্কতা জারি করেনি হাওয়া অফিস। আগামী কয়েক দিনে উত্তরের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে সতর্কতা জারি করার মতো পরিস্থিতি নেই কোথাও। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৪ ডিগ্রি বেশি।