ব্যুরো নিউজঃ করোনা সংক্রমণের ফলে ইতালিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৯৯ লাখ ১ হাজার ২৭৪ জন। ও মারা গেছে্ন ৭০ হাজার ৩৯৫ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার ৬৭ জন।
করোনা আবহে গতকাল মাঝরাত থেকেই আগামী ৬ ই জানুয়ারী পর্যন্ত ইতালিতে পূর্ণ লকডাউন থাকবে। যার ফলে নিরাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন প্রবাসী বাঙালী সহ বাংলাদেশী ও ইতালিয়ানরা। তবে ইতালিতে পূর্ণ লকডাউনের মধ্যেই বড়োদিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হবে। আর সমস্ত আয়োজন বাড়িতেই করা হবে।
এমনকি এই বছর ভ্যাটিকান সিটিতে বড়োদিনের সমাবেশও হচ্ছে না। ইতালি থেকে আলাদা হওয়ার পর দীর্ঘ ৯১ বছর পার হয়েছে ভ্যাটিকান সিটি’র। এই প্রথম বড়োদিনের কোনো অনুষ্ঠানে পোপ ভাষণ দেবেন না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানেও দশ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereলকডাউন চলাকালীন সেখানকার বার, রেস্টুরেন্ট, পানশালাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকবে। লকডাউনের সময়ে নাগরিকদের চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আর আইন অমান্যকারীদের জন্য মোটা টাকার জরিমানা জারি করা হয়েছে।
ইতালির রাজধানী রোমে ব্যাপক আলোকসজ্জা করা হলেও আনন্দ নেই কারো মনেই। লকডাউনের কারণে সবার মধ্যে হতাশা বিরাজমান। তবে গতকাল বড়োদিনের কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন ইতালীয়ান নাগরিকরা। তার ফলে মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় নজরে এসেছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকিন্তু লকডাউনের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এক প্রবাসী জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে গত কয়েক মাস ধরে কোনো ব্যবসা বাণিজ্য নেই। ক্রিসমাসেও তেমনি কোনো বিক্রি হয়নি।