নয়া দিল্লিঃ পার্লে-জি বিস্কুট আমাদের সকলের কাছেই খুব পরিচিত একটি বিস্কুট। পার্লে-জি বিস্কুট খায়নি এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। এবার সেই পার্লে বিস্কুটের সম্পর্কে এক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। পার্লে কোম্পানির এক আধিকারিক জানিয়েছেন লকডাউন চলাকালীন গত এপ্রিল থেকে মে মাসে পার্লে-জি বিস্কুটের বিক্রি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ পার্লে প্রোডাক্টের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক পার্লে-জি বিস্কুট কিনেছেন। আর দেশের মধ্যে বিক্রির দিক থেকে প্রথম স্থানে দখল করে নিয়েছে বলে পার্লে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে।
দেখা গেছে লকডাউন চলাকালীন মানুষ যখন বেশি বেশি করে খাবার কিনে তা জমিয়ে রাখার চিন্তাভাবনা করেছিলেন সেই অবস্থাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা বিস্কুটের মধ্যে পার্লে-জি বিস্কুটকেই বেছে নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি অনেক NGO এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকেও পার্লে-জি বিস্কুট কেনা হয়েছে। এই বিস্কুট বেশিমাত্রায় বিক্রি হওয়ার কারণ হলো এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ গ্লুকোজ় রয়েছে যা শরীরের পক্ষে উপকারজনক আর এর দাম অন্যান্য বিস্কুটের তুলনায় অনেকটাই সস্তা।
ফলস্বরূপ পার্লে কোম্পানি পাঁচ শতাংশ মার্কেট শেয়ার লাভ করেছে।
এই প্রসঙ্গে পার্লে প্রোডাক্ট সিনিয়র ক্যাটাগরির হেড মায়াঙ্ক শাহ এই বিষয়ে বলেছেন, “গত ৩০-৪০বছরে পার্লে-জি বিস্কুট এতো সংখ্যক হারে বিক্রি হয়নি। কিন্তু এর আগে সুনামি এবং ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে পার্লে-জির বিক্রি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে বর্তমানে এই বিস্কুট মার্কেট কতোটা ধরে রাখতে পারে এখন সেটাই দেখার বিষয়।