স্থায়ী সেতুর দাবীতে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন স্থানীয়রা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ দামোদর নদের উপরে একটি পাকা সেতু তৈরীর দাবীতে পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলার শতাধিক বাসিন্দা বার্নপুর রিভারসাইড এলাকার নেহরুপার্ক লাগোয়া দামোদর নদের তীরে প্রায় দু’ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ করলেন।

বাঁকুড়ার দিকে দিঘি, ঈশ্বরদা, কেশপুর, ভিতরডি, শালতোড়া, সরাগডি সহ প্রায় ৩০ টি গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুর, আসানসোল, কালাঝরিয়া সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা এই সেতু পেরিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। এদিকে মেজিয়া বা ডিসেরগড় সেতু পেরিয়েও বার্নপুর এবং আসানসোল সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।


কিন্তু সেক্ষেত্রে মেজিয়া সেতু ধরলে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে হবে। আর ডিসেরগড় সেতু ধরলে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পার হতে হবে। অন্য দিকে ওই কাঠের সেতু ধরলে মাত্র আট কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে বার্নপুর ও আসানসোলের মধ্যে যাতায়াত করা যাবে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন এই দুই জেলার দামোদর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা যারা নিয়মিত নদ পেরিয়ে যাতায়াত করেন তাদের একাংশ অবস্থানে যোগ দেন। অবস্থানরত বাসিন্দারা জানান, ‘‘দীর্ঘ গত প্রায় সাত বছর থেকে দামোদর বিহারীনাথ সেতুবন্ধন কমিটি গড়ে তুলে সেতু নির্মাণের দাবী জানানো হচ্ছে।’’ 


কমিটির সভাপতি তথা পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল নেতা সুবল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই এলাকায় এই নদের উপরে থাকা একটি কাঠের অস্থায়ী সেতু পেরিয়ে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। গত বছর বর্ষায় সেতুটি জলের তোড়ে ভেঙে গেলে বাসিন্দাদের যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

খুব ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার করতে হয়। বহু বছর ধরে এই নদের উপরে পাকা সেতু নির্মাণের দাবী তোলা হলেও সেই দাবী পূরণ করা হচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।”

শালতোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুস্মিতা কবিরাজ বলেছেন, ‘‘প্রতি বছর এই এলাকায় দামোদর নদের খেয়া পারাপারের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির তরফে দরপত্র ডাকা হয়। চলতি বছরও তাই করা হয়েছে। যারা দরপত্র পেয়েছেন তারাই খেয়া পারাপারের পরিবর্তে অস্থায়ী কাঠের সেতু বানিয়ে লোকজনকে পারাপার করাচ্ছেন।”

মহকুমাশাসক (বাঁকুড়া) সুশান্ত ভক্ত জানিয়েছেন, ‘‘আমার তেমন কিছু জানা নেই। খোঁজ নেব।” তবে সেতু নির্মাণের বিষয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারেরা এলাকায় গিয়ে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণও করেছেন। 

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30