চয়নরায়ঃ কলকাতাঃ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র বক্তব্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মানহানি হয়েছে। আর এই অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী আইনজীবী মারফত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে আইনী নোটিশ পাঠালেন।
আর আজ কুণাল ঘোষের ‘জাগো বাংলা’র প্রথম পাতায় সংবাদ শিরোনামে লেখা হয় “গ্রেফতার চাই শুভেন্দু অধিকারীর”। এছাড়া কুণাল ঘোষের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়। এই দুই ঘটনায় সৌমেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতার মানহানি হয়েছে বলে দাবী করেছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ জানান, “শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশ এবং ব্যবস্থাপনায় দেড়শো জনকে চাকরী দেওয়া হয়েছে।
তার মধ্যে ৫৫ জনের চাকরী চলে গিয়েছে। এরপর তাঁর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন যে, “কিসের বিনিময়ে চাকরী দিয়েছেন?” আর এই বক্তব্যের সাথে সাযুজ্য রেখেই দলীয় মুখপত্রের উপশিরোনামে লেখা হয়, “শুভেন্দু অধিকারীর সুপারিশে পাওয়া ৫৫ জন চাকরী থেকে বরখাস্ত। দলবদলুর ডানহাত সঞ্জীব সুকুল চিহ্নিত। চাকরীকাণ্ডের পান্ডা।”
ফলে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। দলীয় মুখপত্রে ভ্রম সংশোধন করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক জীবনের ইতিবৃত্তও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুণাল ঘোষ এখনো অবধি এই নোটিশ হাতে পাননি বলে দাবী করেছেন।
কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি আইনী চিঠি হাতে পেলে নিশ্চয়ই জবাব দেব। আর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবী করা হয়েছে মাত্র। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে বক্তব্য ফিরিয়ে নেওয়া হবে।” তবে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও সৌমেন্দু অধিকারী এই আইনী চিঠি পাঠালেন কিভাবে তা নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়।