চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর পদে বহাল ছিলেন। এর পাশাপাশি হাওড়া জেলার তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন। কিন্তু আজ তিনি ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কারণ তিনি রাজনীতি ছেড়ে ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে চান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। আপাতত তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিলেও বিধায়ক পদে পূর্ণ মেয়াদেই থাকতে চান।
তবে রাজনৈতিক সূত্রানুযায়ী জানা যায়, তিনি দল ও সংগঠন থেকেও ইস্তফা দেবেন। তাঁর সঙ্গে হাওড়া জেলার একজন মন্ত্রী, একজন বিধায়ক এবং প্রাক্তন মেয়রেরও তৃণমূল ছাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। একুশের ভোটের আগে তাঁর দল ছাড়া শাসক শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত বলা যায়, জেলায় সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় এবং বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গোষ্ঠী বিবাদের জেরে গত বছর ২১ জুলাইয়ের পর অরূপ রায়কে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীরতন শুল্কাকে সেই পদে বসিয়েছিলেন। তারপর লক্ষ্মীরতন ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একসাথে জোট বেঁধেছিলেন। আর অরূপ রায় মূল জেলা সংগঠনের থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereলক্ষ্মীরতন ইস্তফা দেওয়ার আগে প্রকাশ্যে একাধিকবার দলের এক শ্রেণীর নেতার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “ওদের দলে তো ভাঙন শুরুই হয়েছে। আমাদের উপর হামলা করতে গিয়ে নিজেদের লোকজনকেই হারাচ্ছে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এবার বোঝা উচিত যে তাঁর সহকর্মীরাই তাঁর উপর আর ভরসা রাখছেন না”।
তবে আগামী নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবির থেকে একের পর এক মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতা বর্গের পদত্যাগ শাসকদলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here