স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ সবলা মেলা, সংস্কৃতি মেলা ও বইমেলার অনুমতি নদীয়া প্রশাসন দিলেও সরস্বতী পুজোতে সাঙের অনুমতি পেল না শহরের বারোয়ারি গুলি।
প্রসঙ্গত বলা যায়, কৃষ্ণনগরে সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তি গাড়িতে নয় কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার রীতি প্রচলিত। আর একেই সাঙ বলা হয়।
উচ্চ আদালত বা নিম্ন আদালতের বিধিনিষেধ না থাকলেও সরস্বতী পুজোতে সাঙের অনুমতি মিলল না। অন্যদিকে করোনা আবহে সবলা মেলা, সংস্কৃতি মেলা এবং বই মেলায় অনুমতি দিলো নদীয়া প্রশাসন। কৃষ্ণনগরের মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে এই সরস্বতী পুজো জড়িয়ে রয়েছে। আর সাঙ না হলে সরস্বতী পুজোর সমস্ত আনন্দই যে মাটি হয়ে যাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সম্প্রতি করোনা আবহে রাজ্যসহ নদীয়ার কৃষ্ণনগরেও দুর্গাপুজো ও জগদ্ধাত্রী পূজোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো মণ্ডপগুলোকে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে পুজা করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই শিথিল। নেই উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতের কোনো বিধি নিষেধ। এমনকি মেলা, অনুষ্ঠান সহ সরকারী মিটিং-মিছিল এবং সরকারী অনুষ্ঠানও চলছে। শপিং মল থেকে শুরু করে ট্রেন চলাচলের মতো সিদ্ধান্ত যখন সরকার নিতে পেরেছে তাহলে সরস্বতী পুজোয় সাঙে বাধা কেন? অন্যদিকে কৃষ্ণনগরের পুজো মণ্ডপগুলো এই ব্যাপারে অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেছে।