Reading Mode

মিনাক্ষী দাসঃ আগে স্নানের সময় সাবানের সাথে ধুন্দুলের খোসা দিয়ে গা ঘষে পরিষ্কার করার রীতি ছিল। কিন্তু এখন সেই রীতি অনেকটাই বাতিল হয়ে গিয়েছে। আজকাল অধিকাংশই সাবানের পরিবর্তে শাওয়ার জেল ব্যবহার করেন। আর লোফা ছাড়া শাওয়ার জেল ব্যবহার করা যায় না। প্রতিদিন এই লোফা দিয়ে গা ঘষলেই যাবতীয় ময়লা উঠে আসে। এটি ব্যবহার করলে ত্বকের উপর যে মৃত কোষ থাকে তাও উঠে আসে। ঘষে ঘষে ময়লা ও মৃত চামড়া তুলে ফেলতে এই লোফা খুবই কার্যকরী। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতেও কাজে আসে।

লোফা ব্যবহারের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। এটি স্নানের পর ঠিক ভাবে ধুয়ে রাখতে হয়। যাতে সাবান লেগে না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর লোফা আমাদের বাথরুমেই রাখা থাকে। ফলে শুকোতে অনেক সময় লাগে আর সেখানে রোগ-জীবাণু বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। আর যখন সেই লোফা দিনের পর দিন ব্যবহার করা হয় তখন ত্বকে নানা রকম সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। ত্বক লাল হয়ে যায়। অনেক বেশী সংবেদনশীল হয়ে যায়। আবার অনেক সময় চুলকানির সমস্যাও হতে পারে।

তাই স্নানের পর এটি যাতে ঠিকভাবে শুকিয়ে যায় সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও একটা লোফা ছ’মাসের বেশী ব্যবহার করাও ঠিক নয়। সেই সাথে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে। টানা ব্যবহার করা যাবে না। একটা লোফা তিন থেকে চার সপ্তাহ ব্যবহার করার পর অন্যটা ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর লোফা কিনে এনে প্রথমে জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। নিজের লোফা নিজেই ব্যবহার করা উচিত। অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।