অধিক বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে বিঘের পর বিঘে নষ্ট পাটের জমি

Share

স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ গতকাল সন্ধ্যা বেলা পর্যন্ত ভাগীরথীর জলস্তর ছিল ৬.০২ মিটার, বিপদসীমার মাত্রা ৮.৪৪ মিটার।
গত কয়েকদিন ধরে অত্যাধিক বৃষ্টির ফলে প্রায় প্রতিদিনই জলস্তর বাড়ছে। নদীয়ার অর্থনীতি অনেকটাই পাট চাষের ওপর নির্ভর করে। নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুরের বেশীরভাগ অংশে বিপুল পরিমাণে পাট চাষ হয়। পাট চাষীদের ক্ষেত্রে একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল। এবছর নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুর এলাকায় বিঘের পর বিঘে জমিতে অত্যাধিক বৃষ্টির ফলে পাটের জমিতে গঙ্গার জল ক্রমশ ঢুকতে শুরু করেছে। প্রাচীন মায়াপুরের গঙ্গার বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে।

https://www.youtube.com/watch?v=0ypPiLUgqXU


তাই পাট চাষীদের মাথায় হাত। নদীর তীরবর্তী বসবাসকারীরাও দুশ্চিন্তায় আছেন। যদিও পাট একটু বেশী বৃষ্টি হলেও জলে কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু অত্যাধিক জলে পাট গাছ খুব বড়ো হতে পারে না বরং পাট গাছের গোড়া আলগা হয়ে যায়। ফলে পরিপূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে চাষীদের পাট গাছ কেটে ফেলতে হচ্ছে। এদিকে পাট গাছ বড়ো না হলে পাটের দামও সঠিক পাওয়া যাবে না। এরফলে আগামী দিনে পাট চাষীরা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বেন।


https://www.youtube.com/watch?v=RNXZrbOxIMk

এই বছর পাট জমিতে খুব ভালো হয়েছিল তবে বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেছে। জানা গেছে, চাষীরা বেশী টাকা সুদে ঋণ নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চাষীদের পাট চাষের খরচ তোলা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।


https://www.youtube.com/watch?v=kbY9gVpcGYo

নদীয়াতে সেই ভাবে কোনো প্রকার কলকারখানা নেই তারফলে নদীয়া জেলাবাসীরা অনেকটাই চাষের দিকে তাকিয়ে থাকে।পাশাপাশি পাট চাষে বিপুল ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের কাছে বারবার সাহায্যের আর্জি জানিয়েও কোনো সুরাহা না হওয়ায় পাট চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে গঙ্গার তীরবর্তী বসবাসকারীদের দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে কখন তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়!

https://www.youtube.com/watch?v=67mCfRSaphI

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930