বস্তার জোগানে পড়ল টান, পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্যের চিঠি কেন্দ্রের কাছে

Share

ওয়েব ডেস্কঃ খারিফ মরসুমে চলতি বছরে রাজ্যে ধানের ফলন যথেষ্ট ভাল হয়েছে। ফলে অনেক বেশি ধান কিনতে হবে রাজ্যকে। সেই কারণে বস্তাও বেশি লাগবে। তাই এই মরসুমে অন্তত ১.৬০ লক্ষ বেল (১ বেল = ৫০০টি বস্তা) চটের বস্তা লাগবে বলে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতর। এর আগে প্রাথমিক ভাবে ১.২৭ লক্ষ বেলের আর্জি জানানো হয়েছিল।

সূত্রের খবর, আশঙ্কা করা যাচ্ছে যে রাজ্যে সব থেকে বেশি চটকল আছে সেখানেই বস্তা কম পড়তে পারে। কারণ প্রথম ধাপে ৫০,০০০ বেল বরাতের মধ্যে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২১,০০০ পাওয়া গিয়েছে। পুরোটা এখনো পাওয়া যায়নি। এই আশঙ্কা সত্যি হলে শস্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে। সম্প্রতি খাদ্য দফতর চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-কে বৈঠকেও ডাকে। রাজ্যের চটকলগুলি থেকে এর মধ্যে আরও ৭০০০ বেল খাদ্য দফতরের পাওয়ার কথা। বাকিটা তারা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু যেখানে ৫০,০০০ জোগানেই এমন দশা সেখানে পুরো মরসুমজুড়ে ১.৬০ লক্ষ বেল চটের বস্তা পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত খাদ্য দফতরের কর্তারা।


রাজ্যগুলির চাহিদা বুঝে চটের বস্তার বরাত দেয় কেন্দ্র। এ জন্য বছরে খরচ আনুমানিক ৭৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু এবার খারিফের প্রাথমিক চাহিদা প্রায় ২৪ লক্ষ বেল। আর চটকলগুলি সরবরাহ করেছে ১০ লক্ষ বেল। বরাত অনুযায়ী বকেয়া পড়েছে ৫.৫ লক্ষ বেল।

ঠিক হয়েছিল, খারিফ মরসুমে রাজ্যগুলির প্রয়োজন অনুযায়ী দেশে কমপক্ষে ২৪ লক্ষ বেল চটের বস্তা লাগবে। তবে আইজেএমএ জুট কমিশনারের অফিসকে জানিয়েছে, বিভিন্ন কারণবশত তারা ১৪ লক্ষ বেলের বেশি সরবরাহ করতে পারবে না। ফলে পশ্চিমবঙ্গসহ অনেক রাজ্যেরই বস্তার যোগান পূরণ হবে না। কিন্তু ধানের ফলন বেশি হওয়ার দরুণ বস্তার চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জেরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রকে বস্তার যোগান দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।


 


DISCLAIMER: This channel does not promote any violent, Harmful or illegal activities. All content provided by this channel is meant for an educational purpose only.

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031