চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ নিরাপত্তার দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নিজেদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ছিল তাঁদের অন্যতম। পরে যদিও, লাগাতার বৈঠকের পর কর্মবিরতি তোলেন তাঁরা। এরই মধ্য়ে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে স্বাস্থ্য কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। আর এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে সোমবার বিকেল থেকে কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের।
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, “আমরা এর আগে মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম। ডি-সেন্ট্রালাইজ মিছিলের ডাক দিয়েছি। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে আমরা বলছি আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যে রিলে মশাল মিছিলের ডাক দিচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “৫১ তম দিন হল তিলোত্তমা বিচার পায়নি। প্রথম দিন থেকে আমরা রাজপথে নেমেছি বিচারের দাবিতে। এরপর সরকারের তরফে কিছু প্রতিশ্রুতি পেয়ে ও মানুষের কথা ভেবে আংশিক কর্মবিরতি চালাচ্ছিলাম। তবে গতকাল এসএসকেএম-এর অডিটোরিয়ামে গণকনভেশনের ডাক দিয়েছিলাম। সেখানে সমস্ত স্তরের মানুষ এসেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরই মধ্যে শুনলাম সাগরদত্তে এক প্রকার মানুষ এসে ভাঙচুর চালালো এই হাসপাতালে। একজন মরণাপন্ন রোগী আসেন এই হাসপাতালে। জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে দেখেন। এমনকী আইসিইউতে রেফার করা হয়। তবে ওনাকে বাঁচানো যায়নি। কিন্তু আমরা দেখলাম স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর করা হল। আমরা বারবার বলেছি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। কিন্তু কিছু হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট বলার পরও সরকারের তরফে সদিচ্ছা দেখতে পেলাম না। ওই পেশেন্টের প্রাণ চলে যাওয়ার পর হামলা চালানো হল।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপরই তাঁরা ঘোষণা করে বলেন, “জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা বুঝতে পেরেছি রাজ্য সরকার আমাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট এও বলেছিল আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাতে হবে। কিন্তু সরকার তাতেও ব্যর্থ। তাই সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আমরা বিকেল থেকে সম্পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিচ্ছি।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here