রায়া দাসঃ কলকাতাঃ স্বয়ংক্রিয় ভাবে গাড়ি চালানো থেকে খাদ্য পরিবেশনা, এমনকি নাচ-গান— সব কাজেই দক্ষ হয়ে উঠছে রোবট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে চালনা করে মানুষই। কী ভাবে চালনা করা যায়, সেই জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেতে পারেন দ্বাদশ উত্তীর্ণ হওয়ার পরই।

দু’টি পথে পড়ুয়ারা রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেতে পারেন। প্রথমত, বিজ্ঞান বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণির পড়া শেষ করতে হবে, অবশ্যই থাকতে হবে গণিত। এরপর রোবটিক্স, রোবোটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং— এর মধ্যে যে কোনও একটি বিষয়ে ব্যাচলর অফ টেকনোলজি (বিটেক) কিংবা ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (বিই) ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এর পর মাস্টার অফ টেকনোলজি (এমটেক) ডিগ্রি অর্জন করতে হবে রোবটিক্স বিষয়ে। ওই বিষয়ে পিএইচডি করলেই রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ এবং গবেষণার সুযোগ মিলবে।
এ ছাড়াও, দ্বাদশ শ্রেণিতে গণিত-সহ বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়া শেষ করার পর মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস বিষয়ে বিটেক বা বিই ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে হবে। ওই বিষয়ে স্নাতকের পরও রোবোটিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হওয়া সম্ভব। একই ভাবে তাঁরা ওই বিষয়ে পরবর্তীতে পিএইচডি করারও সুযোগ পাবেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি খড়্গপুর, আইআইইএসটি শিবপুর, আইআইআইটি কল্যাণীতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে রোবোটিক্স কিংবা সমতুল বিষয় নিয়ে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এই বিষয়টিতে ডিগ্রি কোর্স করিয়ে থাকে।
আগ্রহী পড়ুয়াদের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হওয়ার জন্য কিছু প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে গ্র্যাজুয়েশন অ্যাপটিটিউড টেস্ট (গেট), ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রানস্ এগ্জ়ামিনেশন (ডব্লুবি জেইই), জেইই মেন এবং জেইই অ্যাডভান্সড, কমন ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন টেস্ট (ইঞ্জিনিয়ারিং)। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিতের মতো বিষয়ে দ্বাদশ উত্তীর্ণেরা এই প্রবেশিকাগুলি দেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবোটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন-এর মতো বিষয় নিয়ে পড়াশোনার বার্ষিক খরচ ৫০,০০০ টাকা থেকে ২ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। বর্তমানে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনার পর রোবোটিক্স প্রোগ্রামার, রোবোটিক্স সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, রোবোট ডিজ়াইন ইঞ্জিনিয়ার, অটোমেটেড প্রোডাক্ট ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার, রোবোটিক্স টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজে যোগ দেওয়া যায়।
এ ছাড়া, দেশের বিভিন্ন সরকারি গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি, বেসরকারি বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে গবেষক হিসাবে রোবোটিক্স-এ উচ্চশিক্ষিতদের নিয়োগ করা হয়ে থাকে বিভিন্ন চুক্তিতে। তবে, ওই সমস্ত কাজে পড়াশোনার পর কিংবা পাঠরত অবস্থায় চাকরির সুযোগ পেয়ে থাকেন পড়ুয়ারা।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereডিগ্রি অর্জনের পর কিংবা পড়াশোনার সঙ্গেই কম্পিউটার এডেড ম্যানুফ্যাকচারিং সিস্টেমস এবং ডিজ়াইন-এর মতো কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। তাই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, লজিক্যাল থিঙ্কিং, ক্যাড টুল নিয়ে কাজের অভ্যাস আলাদা করতে গড়তে হবে। যে হেতু রোবট তৈরি করাই মূল লক্ষ্য, তাই কম্পিউটারের সফট্অয়্যারের পাশাপাশি, হার্ডঅয়্যারের খুঁটিনাটি জানতে হবে তাঁদের।









