নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসামঃ গোটা আসাম জুড়ে জাপানী এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। মনে করা হচ্ছে, আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পরই জাপানী এনসেফ্যালাইটিস রোগের প্রকোপ আরো বাড়তে শুরু করেছে।
আসামের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৬ দিনে ২৭৪ জনের শরীরে এই রোগ বাসা বেঁধেছে। চিরাং, নগাঁও, বাকসা, মাজুলি, হোজাই, মরিগাঁও, গোলাঘাট, জোরহাট, ডিব্রুগড়, বারপেটা, নলবাড়ি, উদালগুড়ি, চরাইদেও, লখিমপুর, শিবসাগর সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
এই পরিস্থিতি ঠেকাতে আসামের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখা কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা রাজ্য জুড়ে এই রোগের বিরুদ্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে আসামে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে ৮৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে ১৬১ জনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালে ৬৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কোনো এডিস মশা জাপানী এনসেফ্যালাইটিস রোগাক্রান্ত পাখি বা শূয়োরকে কামড়ালে তখন ওই মশা ওই রোগের বাহক হয়ে যায়। এরপর সেই মশা কাউকে কামড়ালে মানুষও ওই রোগে আক্রান্ত হন। ফলে জ্বর, বমি, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা সহ খিঁচুনির মতো উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু টীকাকরণ থাকলে এই রোগের হাত থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়ে।