Indian Prime Time
True News only ....

বিদেশেও রমরমা বেড়েছে বাংলার তাঁতের শাড়ির

- Sponsored -

- Sponsored -

- Slide Ad -

 

ওয়েব ডেস্কঃ তাঁতের শাড়ির রমরমা কেবল বাংলাতেই নয় বিদেশের মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। যা বাংলার তাঁতশিল্পীদের কাছে খুবই আনন্দজনক। বাংলার তাঁত সংস্থা তন্তুজের হাত ধরে বাংলার তাঁতের শাড়ি এবার বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে। বর্তমানে বিদেশীদের কাছে চাহিদা বেড়েছে বাংলার তাঁতের শাড়ির। বাংলার তাঁতশিল্পীদের হাতে তৈরি পঞ্চাশ হাজার থেকে দেড় লাখ শাড়ি ই-কমার্সের মাধ্যমে হংকং, কানাডার মতো দেশে পাড়ি দিচ্ছে। যার ফলে ধীরে ধীরে বাংলার তাঁতশিল্পীদের ভালোদিন ফিরছে।

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

রাজ্য তন্তুজের ডিরেক্টর রবিন রায় বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ই-কমার্স প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেমন ই-কমার্সের মাধ্যমে এক্সক্লুসিভ বালুচরি শাড়ি বিদেশে পাঠানো হচ্ছে তেমনই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীদের হাতের তৈরি তাঁতের শাড়িও রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তাঁতশিল্পের জন্য রাজ্য সরকারের তন্তুজ, মঞ্জুষা, বঙ্গশ্রী, রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফ্ট, রেশম শিল্পী সমবায়ের মতো বিপণন সংস্থা আছে।
বাম আমলে তন্তুজ প্রচুর লোকসানে চলছিল। ৩৪ বছরে সিপিএমের আমলে সারা বছরে তন্তুজের আর্থিক ক্যাপিটাল ছিল মাত্র ৫৫ কোটি টাকা। তবে তৃণমূলের আমলে তন্তুজ ২০১৮-১৯ সালের আর্থিক বছরে লাভ করেছে ১৪ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। বস্ত্রদপ্তরের অধীনে থাকা মঞ্জুষা ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে লাভ করেছে ১০ কোটি টাকা। বাম জামানা থেকে তৃণমূল জামানায় ২০১৮-১৯ সালের আর্থিক ক্যাপিটাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৫ কোটি টাকা।

তন্তুজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর তন্তুজ অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বেশি তাঁতের শাড়ি বিক্রি করেছে। আর লকডাউনের সময় তন্তুজ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে। করোনাকালে তন্তুজ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরকে মাস্ক, পিপিই কিট সরবরাহ করেছে। এরমধ্যে তিন কোটি মাস্ক, তিন লক্ষ N-95 মাস্ক, ২৫ লক্ষ পিপিই কিট সরবরাহ করেছে। ক্ষুদ্র কুটির ও শিল্প দপ্তরের সহযোগিতায় যেসব মানুষ কর্মহীন হয়ে গেছে ও যারা ভিন্ রাজ্য থেকে এসেছে সেই সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর এই অবদানের জন্যই এই সরকারী সংস্থা “স্কচ প্ল্যাটিয়াম” অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে।

সারা বাংলাজুড়ে তাঁতশিল্পীদের হাতে যেসব শাড়ি তৈরি হচ্ছে তার এক একটির দাম এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। আর কাটোয়ার মুস্থলি, ঘোড়ানাশ গ্রামে আড়াই লক্ষ টাকা দামের শাড়িও তৈরি হচ্ছে। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় তাঁতশিল্পীরা যে বালুচরি শাড়ি তৈরি করেন সেই অসাধারণ শাড়িগুলি তন্তুজ সরাসরি তাঁতশিল্পীদের কাছ থেকে কিনছে।

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored