মিঠু রায়ঃ কলকাতাঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আজ রাজ্যে সিরামের করোনা ভ্যাক্সিন আসে। পুনে থেকে স্পাইস জেটের কার্গো বিমান এই ভ্যাকসিন আগরতলা বিমানবন্দরে ৫৬,৫০০ টি ভ্যাক্সিন আসে। দেশের ১৩টি শহর অর্থাৎ দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, কারনাল, গুয়াহাটি, চণ্ডীগড়, লখনউ, ব্যাঙ্গলোর, আমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, ভুবনেশ্বর, বিজয়ওয়াড়াতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড এসে পৌঁছায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সমস্ত নির্দেশিকা মেনে এই ভ্যাক্সিনগুলি মজুত রাখা হচ্ছে। ইনসুলেটেড ভ্যানে করে বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে টীকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আপাতত থাকবে ওই টিকা। এরপর এই মেডিক্যাল স্টোর থেকেই বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১১ লক্ষ ভ্যাক্সিনের বরাত দিয়েছে কেন্দ্র। আশা করা যাচ্ছে আগামী ১৮ ই জানুয়ারী শনিবার থেকে রাজ্যে টীকাকরণ শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “যারা দেশবাসীর স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন তাদেরই সব থেকে প্রথমে টীকাকরণ করা হবে। যেমন পুলিশ, সৈনিক, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও সাফাই কর্মী। তারপরই ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং ৫০ বছরের কম বয়সী অর্থাৎ যাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল তাদের টীকা দেওয়া হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, “তারা সরকারের কাছে থেকে টীকা পিছু মাত্র ২০০ টাকার নিচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এপ্রিল মাসের মধ্যে সিরাম সাড়ে ৪ কোটি করোনার ডোজ তৈরি করে নেবে”।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে জানা যায়, বাগবাজার সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোর্সের ভিতরে দুটো রেফ্রিজারেটর আছে। সেখানে ৫৯টি বাক্সে ভ্যাক্সিন থাকবে। আর আজ মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলাতে ভ্যাক্সিন পৌঁছে সারা রাত বণ্টন প্রক্রিয়া হবে। আগামীকাল বাকি ১০ টি জেলায় ভ্যাক্সিন বণ্টন করা হবে। জেলাগুলিতে নীল রঙের বিশেষ গোল বাক্সেই ভ্যাক্সিন পৌঁছে যাবে।